Skip to main content

Posts

Showing posts from April, 2024

হরিচাঁদ ঠাকুরের পূর্বপূরুষদের কে মৈথিলী ব্রাহ্মণ বানানোর গুপ্ত ইতিহাস। লেখক - অধ্যাপক মাননীয়-সত্যরঞ্জন রায়

হরিচাঁদ ঠাকুরের পূর্বপূরুষদের কে মৈথিলী ব্রাহ্মণ বানানোর গুপ্ত ইতিহাস। এই গুপ্ত ইতিহাস উদ্ধার করেছেন – বগুলা কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক মাননীয়-সত্যরঞ্জন রায়।     তিনি তাঁর “আমার লেখা গল্প” বইয়ের “একটি সত্যপ্রকাশের ইতিকথা” – এই নামে এই গুপ্ত ইতিহাস তুলে ধরেছেন। গল্পটি ১৬ পাতার। মূল বইয়ের ৬৩ থেকে ৭৭ পাতায় আছে। তবে গুপ্ত   ইতিহাসে বিবরণ আছে ৭০ থেকে ৭৫ পাতায়। যে পাতাগুলো আমি সঙ্গে দিয়ে দিচ্ছি। আর পূরো গল্পের পিডিএফ লিংক দিচ্ছি। আর এই তথ্য আমাকে দিয়ে সহযোগীতা করেছে আমার ভাই/পরম বন্ধু শিক্ষক, গায়ক- পবিত্র বিশ্বাস।       এই সঠিক ইতিহাস আপনাদের সামনে তুলে ধরা ভীষণ দরকার বলে মনে করি। কারণ, মতুয়া তথা অন্যান্যদের মধ্যে এই ভ্রান্ত ধারণা বদ্ধ মূল হয়ে আছে যে, হরিচাঁদ ঠাকুরের পূর্বপূরুষ মৈথিলী ব্রাহ্মণ ছিলেন। যেটা শ্রীশ্রীহরিলীলামৃতের প্রথম সংস্করণে (বাংলা ১৩২৩ সাল আর ইংরাজি ১৯১৬ সালে প্রকাশিত) নেই। দ্বিতীয় সংস্করণ থেকে বা পরবর্তী সংস্করণ থেকে এবং গুরুচাঁদ চরিতেও বংশপঞ্জিতে এই অনুপ্রবেশ সুকৌশলে করা হয়েছে। এবং এর সুকৌশলী ব্যাখ্যাও দেও...

বাবাসাহেব কেন মতুয়া ধর্ম গ্রহণ করেননি? লেখক – জগদীশ রায়

  বাবাসাহেব কেন মতুয়া ধর্ম গ্রহণ করেননি? লেখক – জগদীশ রায়     সমাজে এই প্রশ্নটা মুখে মুখে ঘুরছে- বাংলা থেকে বাবাসাহেবকে সংবিধান সভার জন্য নির্বাচিত করা হলো। সেই কাজে মতুয়া তথা নমঃশূদ্ররা অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেন। কিন্তু তিনি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ নমঃশূদ্রদের জন্য কিছু করেননি। ধোকা দিয়েছেন। তাঁকে নির্বাচিত করার জন্য মতুয়ারা সাহায্য করল; কিন্তু তিনি কেন মতুয়া ধর্ম গ্রহণ করলেন না? প্রশ্নগুলোর উত্তর আমার মতো করে একে একে দেওয়ার চেষ্টা করছি। প্রথমেই জানাই বাবাসাহেব কেন মতুয়া ধর্ম গ্রহণ করেননি। আমার এই লেখা যিনি পড়ছেন, তাঁকে বলছি- ধরুন, আপনি মারাঠী পড়তে পারেন না। গাড়্গে বাবার নামও জীবনে শোনেননি। আমি আপনাকে বলছি, গাড়্গে বাবা মহারাষ্ট্রের একজন সন্ত বা সমাজ সংস্কারক। তিনি থামস্‌আপ ছিলেন। অর্থাৎ আঙ্গুঠা ছাপ। লেখাপড়া জানতেন না।   কিন্তু তাঁর নামে মহারাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয় আছে। তিনি বলেছেন- “ভগবানের জন্য খরচ করো না। ঐ পয়সা শিক্ষার জন্য ব্যয় কর। পয়সা মন্দিরে না দিয়ে কোনো ছাত্রছাত্রীকে দাও। ভক্তির প্রচার ভালো নয়। শিক্ষার প্রসার অতি ভালো।” এই কথাগুলো আপনি জানলেন কিভাবে? আ...

বাংলা সাহিত্য ক্ষেত্রে মতুয়া সাহিত্য এখনো পর্যন্ত ব্রাত্য কেন? লেখক- জগদীশচন্দ্র রায়

  বাংলা সাহিত্য ক্ষেত্রে মতুয়া সাহিত্য এখনো পর্যন্ত ব্রাত্য কেন? লেখক- জগদীশচন্দ্র রায়      সাহিত্য হচ্ছে কোন সমাজ বা কোনো বিষয়ের দর্পণ। সেই দর্পণে বিষয়ের ছবি প্রতিফলিত হয়। যেটা সমাজকে দিশা নির্দেশ করে প্রগতির জন্য। মতুয়া সাহিত্যও এমন একটি বিষয় যেটা বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে সমাজকে দিশা নির্দেশ করেছে। তবে আমি এখানে এটাও বলব, মতুয়া সাহিত্য শুধু দিশা নির্দেশই করেনি। প্রয়োজনে সংগ্রাম করার কথাও বলেছে। তবে সেই সংগ্রাম হবে শান্তিপূর্ণ। সংগ্রামের রং হচ্ছে লাল। আর শান্তির প্রতীক হচ্ছে সাদা। মতুয়া পতাকার রঙ লাল আর তিন পাশে যে বেড়ি সেটা সাদা। আবার তিন কোনের অর্থ হচ্ছে, সত্য, প্রেম ও পবিত্রতা।      মতুয়া সাহিত্যের আকর গ্রন্থ হিসাবে আমরা ‘শ্রীশ্রীহরিলীলামৃত’ ও ‘ শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ চরিত’ পাই।   এই গ্রন্থ দ্বয়ের মধ্যে সামাজের পিছিয়ে রাখা মানুষদের পারিবারিক, সামাজিক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ধর্মীয় ও অন্যান্য বিষয়ের প্রতি উত্তরণের দিশা দেখানো হয়েছে। এখানে সব চেয়ে বড় কথা লেখক বা কবির কল্পনা নয়, বাস্তব ঘটনাকেই এখানে তুলে ধরা হয়েছে। অর্থাৎ হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ...

বহুজন সমাজ কেন একতা বদ্ধ হতে পারছে না? কী করলে সংঘবদ্ধ হওয়া যাবে? লেখক – জগদীশ রায়

  বহুজন সমাজ কেন একতা বদ্ধ হতে পারছে না ? কী করলে সংঘবদ্ধ হওয়া যাবে ? লেখক – জগদীশ রায়        বুদ্ধিহীন সরলতা আর নাহি চলে হেথা কূট-বুদ্ধি বটে দরকার। (গুরুচাঁদ চরিত পৃ.৪৪৩)     সমাজ আজ দিশা হীন। যেদিকেই হাত দেওয়া হচ্ছে সেদিকেই বর্ণবাদীদের কূটচক্রে পরাস্ত হচ্ছে। সমাজে গতানুগতিকতা দিয়ে সব সময় চলে না। পরিস্থিতির উপর নজর রেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের দরকার। তার জন্য দরকার ‘কূট-বুদ্ধির’। আপনার শত্রু সব সময় চাইবে আপনার অস্ত্রদিয়ে আপনাকেই ঘায়েল করতে। যার উদাহরণ প্রতিনিয়ত চোখে পড়ছে । তো এই সমস্যা থেকে উদ্ধার পেতে হলে আরো দরকার-হ্যাঁ আপনাকে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী হওয়া। শক্তির প্রদর্শন করা। এটাই অন্যতম পথ । আর এই শক্তি প্রদর্শনের জন্য অবশ্যই দরকার-                   যে জাতির দল নাই , সে জাতির বল নাই ।                   যে জাতির নাই রাজা...