Skip to main content

Posts

Showing posts from March, 2015

মতুয়াধর্ম কি স্বাধীন-স্বনিয়ন্ত্রিত কোন স্বতন্ত্র ধর্ম, নাকি হিন্দুধর্মের কোন শাখা-প্রশাখা?

  মতুয়াধর্ম কি স্বাধীন-স্বনিয়ন্ত্রিত কোন স্বতন্ত্র ধর্ম , নাকি হিন্দুধর্মের কোন শাখা-প্রশাখা ? অথবা    হরিচাঁদের দর্শন কি অবৈদিক দর্শন , নাকি তিনি বৈদিক দর্শনের ধারক ছিলেন ? বইঃ-   প্রশ্নোত্তরে মতুয়া দর্শন ;   বইটির লেখকঃ- ডাঃ মণীন্দ্রনাথ বিশ্বাস(মনু) এখানে এই বইয়ের নানান আলোচনার মধ্য থেকে একটি আলোচনাকে এই পোস্টে সাজিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে । বইঃ- প্রশ্নত্তোরে মতুয়া দর্শন // লেখকঃ- ডাঃ মণীন্দ্রনাথ বিশ্বাস(মনু) বিষয় বা প্রশ্নঃ- মতুয়াধর্ম কি স্বাধীন-স্বনিয়ন্ত্রিত কোন স্বতন্ত্র ধর্ম , নাকি হিন্দুধর্মের কোন শাখা-প্রশাখা ? অথবা হরিচাঁদের দর্শন কি অবৈদিক দর্শন , নাকি তিনি বৈদিক দর্শনের ধারক ছিলেন ? বৈদিক ধর্মই পরবরতীকালে হিন্দুধর্ম নামে আখ্যায়িত হয়েছে । আর ধর্ম ও দর্শন মূলত একই কথা । অতএব হরিচাঁদ যদি বৈদিক দর্শনের ধারক হন , তাহলে তাঁর প্রবর্তিত মতুয়াধর্মও বৈদিক ধর্ম বা হিন্দুধর্মের শাখা হবে । অপরপক্ষে হরিচাঁদ ঠাকুর যদি অবৈদিক দর্শনের ধারক হন তাহলে তাঁর প্রবর্তিত মতুয়াধর্মও   হবে অবৈদিক ধর্ম । অর্থাৎ মতুয়াধর্ম বৈদিক বা হিন্দুধর্মের কোন শাখা-প্রশাখা নয় এটা প্রমাণি

অবতার উপসংহার

হরিচাঁদ তত্ত্বামৃত -ডাঃ মণীন্দ্রনাথ বিশ্বাস (পৃঃ নং- ১৯৭ থেকে১৯৯) অবতার উপসংহার কেবা রাম কেবা কৃষ্ণ কেবা শ্রীগৌরাঙ্গ । কিবা প্রয়োজন আছে জানিনা সে রঙ্গ ।। রামলীলা কৃষ্ণলীলা ব্রজের গোপিনী । কিবা লাভ হবে ঘেটে এসব কাহিনি ।। রাধা কেহ ছিল কিনা কিম্বা ছিল শত । শুনিতে এসব কথা পরচর্চা মত ।। মতুয়ার ধর্ম কভু পরচর্চা নয় । পরধর্ম নিন্দা কভু উচিত না হয় ।। সত্য প্রেম পবিত্রতা নিয়ে যত ধর্ম । সে সকলি ধর্ম শুধু জানিও এ মর্ম ।। এই ধর্মে নিন্দা পাপ মতুয়া সকাশে । হরিচাঁদ দানিয়েছে দ্বাদশ নির্দেশে ।। অন্ধকারে ফেলে যাহা জীব সকলায় । মতুয়ার কাছে তাহা ধর্ম কভু নয় ।। ধর্ম ও দর্শন এক , অর্থ ভিন্ন নহে । কখনো দর্শন বলে কভু ধর্ম কহে ।। উভয়ের লক্ষ্য এক জীবের কল্যাণ । জীবের মঙ্গলে সে যে ব্যক্ত করে জ্ঞান ।। এই জ্ঞানে থাকা চাই যুক্তি ও বিজ্ঞান । তবেই মতুয়া কাছে পাবে সে সম্মান ।। অন্য যাহা ঘৃণা তাহা মতুয়া সকাশে । হরিচাঁদ নির্দেশেতে ইহাই প্রকাশে ।। সেই হেতু বেদতত্ত্ব মানিবে না কভু । দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে যাহা বলিয়াছে প্রভু ।। নিজ ধর্ম সংস্কৃতি হৃদয়েতে ধরে । বেদবিধি সংস্কা

ঋগবেদের কৃষ্ণের সাথে পরবর্তী কৃষ্ণের সাদৃশ্য

হরিচাঁদ তত্ত্বামৃত -ডাঃ মণীন্দ্রনাথ বিশ্বাস (পৃঃ নং- ১৯২ থেকে১৯৭) ঋগবেদের কৃষ্ণের সাথে পরবর্তী কৃষ্ণের সাদৃশ্য আর্যপূর্ব ভূভারতে ধর্ম ছিল বৌদ্ধ । প্রাচীন ভারত যারা করিল সমৃদ্ধ ।। ছোট ছোট রাজ্যে ছিল ভারত বিভক্ত । একের প্রভাব থেকে অন্যে ছিল মুক্ত ।। তথাপিও পরস্পরে ছিল সদ্ভাব । বৌদ্ধিক চেতনা আনে এমনি স্বভাব।। জনগণ ছিল রাজ্যে ক্ষমতার কেন্দ্র । সংসদীয়  পদ্ধতিতে চালাইত তন্ত্র ।। বহু রাজ্য নিয়ে হয় এক জনসংঘ । রাজ্যে রাজ্যে মিলনের ইহা বড় অঙ্গ ।। জনসংঘ মিলে ছিল বেদের বিরোধী । বিরুদ্ধে লড়িত সবে এর নিরবধি।। ঋগবেদে দেখা যায় ইহার প্রকাশ । বিভিন্ন সূক্তের মাঝে আছে এই ভাষ ।। ' ওহে ইন্দ্র সোমরসে হইয়া আচ্ছন্ন । সংসদের পরস্পরে করো হে বিচ্ছিন্ন ।। যজ্ঞ বিহীন সংসদ দুরাচার বড় । অতি শীঘ্র ইহাদের হত তুমি কর ।। '             ১৯৩ যাগযজ্ঞ পূজা আদি বৌদ্ধরা মানে না । পুনর্জন্ম স্বর্গ নিয়ে ইহারা ভাবে না ।। ইহাতে প্রমাণ হয় প্রাচীন ভারতে । ভূমিপুত্র সবে ছিল বৌদ্ধধর্ম মতে ।। বৌদ্ধ ধর্মাশ্রয়ে ছিল সকল অসুর । তাই বেদে যুদ্ধ করে অসুর ও সুর ।। বৌদ্ধধর্ম মা

কৃষ্ণ অবতার //কে এই কৃষ্ণ ? সত্যি সত্যি কি তিনি বৈদিক ধর্মের কোন নায়ক ? নাকি তিনি মূলনিবাসী রাজা ?

কৃষ্ণ অবতার হরিচাঁদ তত্ত্বামৃত -ডাঃ মণীন্দ্রনাথ বিশ্বাস (পৃঃ নং- ১৭৭ থেকে১৯০) কৃষ্ণ অবতার (বৈদিক সাহিত্য থেকে কৃষ্ণ ও রাধা সম্পর্কে অনেক কাহিনী জানতে পারি ।কিন্তু কে এই কৃষ্ণ ? সত্যি সত্যি কি তিনি বৈদিক ধর্মের কোন নায়ক ? নাকি তিনি মূলনিবাসী রাজা ? তিনি মূলনিবাসী রাজা বলেই কি তাকে খল নায়ক বানানো হয়েছে বৈদিকতার মাধ্যমে ? আর কৃষ্ণের সঙ্গে এই রাধা কে ? সত্যি সত্যি কি রাধার কোন অস্তিত্ব আছে ? নাকি তাকে কবির কল্পনায় সৃষ্টি করা হয়েছে ? এই সব প্রশ্নের উত্তর খূঁজে পাবেন এই লেখার মধ্যে।) বৈদিক ধর্মেতে যত আছে অবতার । তার মাঝে কৃষ্ণ দেখি সেরা চমৎকার ।। পরতে পরতে মোড়া বিষ্ময়ের চিত্র । কৃষ্ণ নিয়ে গ্রন্থে গ্রন্থে কত না বৈচিত্র ।। ভিন্ন ভিন্ন গ্রন্থে কভু ভিন্নতর তথ্য । নানা রঙে আঁকিতেছে কত মহাত্ম্য ।। অদ্যাবধি আঁকিতেছে কত মহাজন । প্রেমাপুত হৃদে তার মহিমা কীর্তন । । ভাবাবেগে ঢেলে ঢেলে মনের মাধুরী । ভাবের ঘরেতে কত করিতেছে চুরি ।। কুঠারে না কাটিতে পারে কাঠুরিয়া । সেই মত কার্য করে কৃষ্ণকে ধরিয়া ।। মূলনিবাসীর ধর্ম যেন মহীরুহ । নিজ সংস্কৃতি সবই শিকড় সমূহ ।। মূলনিবাস