Skip to main content

অবতার উপসংহার

হরিচাঁদ তত্ত্বামৃত-ডাঃ মণীন্দ্রনাথ বিশ্বাস (পৃঃ নং- ১৯৭ থেকে১৯৯)
অবতার উপসংহার
কেবা রাম কেবা কৃষ্ণ কেবা শ্রীগৌরাঙ্গ ।
কিবা প্রয়োজন আছে জানিনা সে রঙ্গ ।।
রামলীলা কৃষ্ণলীলা ব্রজের গোপিনী ।
কিবা লাভ হবে ঘেটে এসব কাহিনি ।।
রাধা কেহ ছিল কিনা কিম্বা ছিল শত ।
শুনিতে এসব কথা পরচর্চা মত ।।
মতুয়ার ধর্ম কভু পরচর্চা নয় ।
পরধর্ম নিন্দা কভু উচিত না হয় ।।
সত্য প্রেম পবিত্রতা নিয়ে যত ধর্ম ।
সে সকলি ধর্ম শুধু জানিও এ মর্ম ।।
এই ধর্মে নিন্দা পাপ মতুয়া সকাশে ।
হরিচাঁদ দানিয়েছে দ্বাদশ নির্দেশে ।।
অন্ধকারে ফেলে যাহা জীব সকলায় ।
মতুয়ার কাছে তাহা ধর্ম কভু নয় ।।
ধর্ম ও দর্শন এক, অর্থ ভিন্ন নহে ।
কখনো দর্শন বলে কভু ধর্ম কহে ।।
উভয়ের লক্ষ্য এক জীবের কল্যাণ ।
জীবের মঙ্গলে সে যে ব্যক্ত করে জ্ঞান ।।
এই জ্ঞানে থাকা চাই যুক্তি ও বিজ্ঞান ।
তবেই মতুয়া কাছে পাবে সে সম্মান ।।
অন্য যাহা ঘৃণা তাহা মতুয়া সকাশে ।
হরিচাঁদ নির্দেশেতে ইহাই প্রকাশে ।।
সেই হেতু বেদতত্ত্ব মানিবে না কভু ।
দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে যাহা বলিয়াছে প্রভু ।।
নিজ ধর্ম সংস্কৃতি হৃদয়েতে ধরে ।
বেদবিধি সংস্কার ছুঁড়ে ফেল দূরে ।।
বলিতে প্রদত্ত মেঘ সিংহ কভু নয় ।
মতুয়ারা সবে সিংহ জানিও নিশ্চয় ।।
তেজ বীর্যে শ্রেষ্ঠ তারা বীরশ্রেষ্ঠ বীর ।
নিজ পায়ে দাঁড়াইবে তুলি উচ্চ শির ।।
নিজ পায়ে দাঁড়াইতে যার সাধে বাদ ।
তার নিন্দা চর্চা কভু নহে অপরাধ ।।
মতুয়ার দুই পায়ে পরিয়েছে বেড়ি ।
রাম হরি কৃষ্ণ হরি শ্রীগৌরাঙ্গ হরি ।।
শুধু পায়ে বেড়ি নহে বুকে পিঠে শিরে ।
জগদ্দল শিলা সম চেপে আছে জুড়ে ।।
            ১৯৯
কোমর তুলিতে শক্তি নাহি মতুয়ার ।
সেথাও দিয়েছে বেধেঁ বৈদিকের ভার ।।
আমি যে মতুয়া যদি বলে মুক্ত স্বরে ।
বৈদিক ভাবনা তার কন্ঠে চেপে ধরে ।।
এই বেড়ি খুলিবারে হল প্রয়োজন ।
পুঁথি মাঝে তাই কিছু হইল লিখন ।।
আমাকে করেছে যারা দাসত্বে আবদ্ধ ।
তারা তো নমস্য নহে তারা মোর বধ্য ।।
স্বরূপ চরিত্রে যাহা এই তিন মূর্তি ।
ধরার কল্যাণে যাহা ইহাদের কীর্তি ।।
তার কিছু দরকার মতুয়য়ার জানা ।
কিঞ্চিৎ হয়েছে হেথা তার আলোচনা ।।
ভ্রান্তিবশে মতুয়য়ার ছিল এই ভাব ।
মানিয়া চলিত এরা ওদের প্রভাব ।।
এতদিনে মুক্ত হল বৈদিক শৃঙ্খল ।
মুক্তমনে ডঙ্কা মেরে বল হরিবল ।।
__________________________________

Comments