Skip to main content

Posts

Showing posts from February, 2013

মতুয়া আন্দোলন ও বাংলার নবজাগরণ

ঠাকুর শ্রী শ্রী হরিচাঁদ মানব পুরুষ : অধ্যাত্ম পুরুষ-শ্রী সন্তোষ কুমার বারুই-সংকলক ও সম্পাদক। বই এর পৃষ্ঠা নং ১০ ,বিষয়:-মতুয়া আন্দোলন ও বাংলার নবজাগরণ লেখক অনিল সরকার। থেকে গৃহীত- মতুয়াদের বিবাহে, শ্রাদ্ধে কোনো ব্রাহ্মণ পুরোহিত লাগে না, গোসাঁইদের দ্বারা সব হয়ে যায় । হিন্দু ধর্মের মধ্যে পুরোহিত ব্রাহ্মণ ও তার ছেলে এবং নাতি ছাড়া অন্য কেউ হতে পারে না । বৌদ্ধ ধর্মে সবাই পারে, খৃষ্ট সবাই পারে,ইসলাম ধর্মে সবাই পারে, ব্যতিক্রম শুধু হিন্দু ধর্ম । শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর একে Break করেছেন- এর নাম Revolution. সমাজ বর্ণ বিভক্ত, শ্রেনী বিভক্ত, শোষক শ্রেনী বিভক্ত, শাসক ধর্ম বিভক্ত । ——– —-ঠকুর হরিচাঁদ –গুরুচাঁদ শাসিত মানুষের জন্য, পতিত ও শূদ্রদের জন্য ঘোষণা করলেন বিকল্প পথ ।তাঁর ধর্মে মূর্ত হয়ে উঠেছে ধর্ম সংস্কার , গার্হস্থ্য ধর্ম , কৃষি , বাণিজ্য, শিক্ষা , ইহকালবাদী প্রেম –ভক্তি , সকলের মধ্যে সম্প্রীতি যা রূপ নিয়েচে একটি প্রতিবাদী ধর্মে –Protestant Religious. তিনি দিলেন নূতন পথ, নূতন জামানা , ধর্ম বিস্তার , শিক্ষাবিস্তার , সংঘশক্তি, জাত পাত ও সাম্প্রদায়িকতা বিমোচন-যার নাম বিপ্লব ।

শুদ্ধাচারী বীজমন্ত্রী, নামে জপে মালা । একা একা যেতে চায় সমুদ্রেতে ভেলা ।।

শুদ্ধাচারী বীজমন্ত্রী, নামে জপে মালা । একা একা যেতে চায় সমুদ্রেতে ভেলা ।। …………………………………………….. এসব সামান্যকূপ সব ডুবে যাবে । হরিপ্রেম প্লাবনেতে জীব মুক্তি পাবে ।। ….অর্থাৎ নিজস্ব মুক্তির চেষ্টাকে বড় করে দেখেন নি হরিচাঁদ ঠাকুর , তাকে তিনি তুলনা করেচেন সমুদ্রে একা ভেলা ভাসিয়ে পার হবার চেষটার সঙ্গে । বুঝতে অসুবিধা হয় না, ব্যক্তি নয় , সমষ্টির মুক্তিই প্রাধান্য পেয়েছে তাঁর চিন্তায় । সমষ্টির কল্যাণের পথেই তো আসবে বিশ্বের কল্যান । আর সবচেয়ে বড় কথা হরিনামে পাপ ক্ষয় হয় বা মুক্তি অর্জিত হয় একথা তিনি বিশ্বাস করেন নি, তাঁর মতে হরিনামে প্রেম প্রাপ্তি হয়; দেহ মন শুদ্ধ হয় । দেহমন শুদ্ধ হলে স্থির হবে আত্মা । তখন শিখাতে হবে গৃহধর্ম কথা ।। লক্ষ্যনীয় অন্যেরা যখন সংসার বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে ঈশ্বরে আশ্রয় নিতে বলেছেন, শ্রী হরিচাঁদ তার বিপরীতে দাঁড়িয়ে বলছেন , হরিনামে দেহমন শুদ্ধ হলে ভালো ভাবে গৃহধর্ম উদ্যাপনের কথা । বস্তুত পক্ষে, সুন্দর এক বিশ্ব সৃষ্টির মধ্য দিয়ে উত্তরোক্তর সুখী সমৃদ্ধ জীবন লাভ করবে মানব সন্তান, এই পথই তিনি রচনা করে দিযে গিযেছেন । পরকালের মুক্তি, পাপ-পূণ্য এসবকে তিনি গুরুত

”কুকুরের উচ্চিষ্ট প্রসাদ পেলে খাই । বেদ-বিধি শৌচাচার নাহি মানি তাই

”কুকুরের উচ্চিষ্ট প্রসাদ পেলে খাই । বেদ-বিধি শৌচাচার নাহি মানি তাই ।। সত্যবাদী জিতেন্দ্রিয় হইবেক যেই । না থাকুক আচার ক্রিয়া কর্ম হরি তুল্য সেই ।।” –অর্থাৎ বেদ ও অন্যান্য হিন্দুধর্মীয় শাস্ত্রগ্রন্থ, আচার-আচরণ এসব কিছুকে তিনি পরিহার ও অস্বীকার করেছিলেন । হিন্দুধর্ম ও তার দেব-দেবীকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন । নিজেকে হিন্দুধর্মের একজন বলে কখন ভাবেননি । হিন্দুধর্মকে মানব মুক্তির পথে শত্রু হিসাবে চিহ্নত করেন । তিনি আজীবন ব্রাহ্মণ্যবাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের পতাকা উর্ধে তুলে ধরে বিদ্রোহের প্রতীক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন । তিনি কেন হিন্দুধর্মকে অস্বীকার করেছিলেন ? –স্বাভাবিকভাবেই আমাদের এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হয় । হরিচাঁদ ঠাকুর পতিত মানুষকে উদ্ধার বা মুক্ত করার যে ব্রত নিয়ে সংগ্রাম শুরু করেছিলেন হিন্দুধর্মীয় শিক্ষা সে কাজের সম্পুর্ণ পরিপন্থি বলে তার উপলব্ধি হয়েছিল । সেই জন্যই তাকে হিন্দুধর্ম ও হিন্দুধর্মশাস্ত্রগুলিকে অস্বীকার করতে বাধ্য করে । তিনি বুঝেছিলেন –পতিত জনগোষ্ঠির দুর্দশার কারণ পক্ষপাতদুষ্ট হিন্দুধর্মীয় নানা নীতি ও নির্দেশ । তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলেন যে