Skip to main content

Posts

Showing posts from August, 2018

ঈশ্বরে ব্যাখ্যা ও গুরুচাঁদ ঠাকুর। তিনি কোন ঈশ্বরের পূজা করতে বলেছেন? লেখক –জগদীশচন্দ্র রায়

  ঈশ্বরে ব্যাখ্যা ও গুরুচাঁদ ঠাকুর। তিনি কোন ঈশ্বরের পূজা করতে বলেছেন? লেখক –জগদীশচন্দ্র রায়      ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ অক্টোবর, গুরুচাঁদ ঠাকুরের উপস্থিতিতে   লক্ষ্মীখালীতে বিভিন্ন জ্ঞানী-গুণীজনদের নিয়ে এক বিরাট জাগরণী সভা হয়। সেই সভায় – প্রভু বলে “শোন সবে নমঃশূদ্রগণ। ধর্ম্ম শক্তি বিনা জাতি জাগেনা কখন।। (গু. চ.পৃঃ ৫২৯) তিনি নমঃশূদ্রদের জানান, জাতিকে জাগাতে হলে ধর্ম্মের শক্তির দরকার আছে। এই শক্তির   মাধ্যমেই মানুষকে একতাবদ্ধ করা যাবে। তবে তিনি ধর্মকে হাতিয়ার হিসাবে গ্রহণ করলেও ধর্ম বিশ্বাসের উপর নির্ভর করেননি। মানুষকে জাগ্রত করার শিক্ষার মধ্যে নিয়ে যাবার জন্য, বৈষম্য দূর করার জন্য ধর্মকে এক ধরনের ভাষা অর্থাৎ প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন। মতুয়াদেরকে কাঁর পূজা করতে হবে আর কার পূজা করবেনা; সে  বিষয়ে তিনি এক অমোঘ বাণী  দেন। যে বাণীকে প্রত্যেক মতুয়া অনুরাগীদের ভেবে দেখা দরকার। দেবতা-মন্দির সবে গড়’ ঘরে ঘরে। নিত্য পূজা কর সেথা সরল অন্তরে।। এইখানে আমি বলি’ এক সমাচার। দেবতা-মন্দিরে পূজা করিবে কাহার? বিশ্বভরে এই নীতি দেখি পরস্পর। যে যা’রে উদ্ধ

গুরুচাঁদ ঠাকুরের শিক্ষা আন্দোলন সম্পর্কে অধ্যাপিকা ডঃ দেবী চ্যাটার্জীর বিশ্লেষণের এক ঝলকঃ-

গুরুচাঁদ ঠাকুরের শিক্ষা আন্দোলন সম্পর্কে অধ্যাপিকা ডঃ দেবী চ্যাটার্জীর বিশ্লেষণের   এক ঝলকঃ-     গুরুচাঁদ ঠাকুরের কথা যখন বলি, তখন শুধুমাত্র একজন মানুষের কথা বলি না, একটা ইতিহাসের কথা বলি, একটা সমাজ ব্যবস্থার কথা বলি, সেই সমাজ ব্যবস্থাটার বিরুদ্ধে একটা   প্রতিবাদী আন্দোলনের কথা বলি, প্রতিবাদের ভাষার কথা বলি, ভবিষ্যতের একটা স্বপ্নের কথা বলি।    মানুষকে যখন দাবিয়ে রাখতে হয় তখন তাকে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত রাখা হয়। শিক্ষার সুযোগ যাতে না পায় তার জন্য আমাদের দেশে এটা করা হোল একদম ধর্মের সঙ্গে মিশিয়ে দিয়ে। অস্পৃশ্য শূদ্রদের ধর্মে শিক্ষা গ্রহণ নিষিদ্ধ করা হল –আর এটা করা হল যাতে তারা শিক্ষার সুযোগ না পায়।       শিক্ষার অধিকারটা মেয়েদেরও দেওয়া হল না। তাহলে শিক্ষা থেকে বাদ দেওয়া হল কাদের?   বাদ দেওয়া হল শূদ্রদের, বাদ দেওয়া হল মেয়েদের। এরা কারা? যারা সমাজকে টিকিয়ে রাখার জন্য শ্রমটা দেবেন। তাদের শ্রম কারা নেবে –উঁচু জাতির মানুষরা নেবেন। তারা শিক্ষালাভ করবেন। আর তারা শ্রম দেবেন না। এখানেও নিষেধাজ্ঞা রইল। নীচুজাতের মানুষের শ্রমের উপর    উঁচুজাতের মানুষের অধিকার থাকবে। নারীর শ্রমের উ