গুরুচাঁদ ঠাকুরের শিক্ষা আন্দোলন সম্পর্কে অধ্যাপিকা ডঃ দেবী চ্যাটার্জীর
বিশ্লেষণের এক ঝলকঃ-
গুরুচাঁদ ঠাকুরের কথা যখন বলি, তখন শুধুমাত্র
একজন মানুষের কথা বলি না, একটা ইতিহাসের কথা বলি, একটা সমাজ ব্যবস্থার কথা বলি,
সেই সমাজ ব্যবস্থাটার বিরুদ্ধে একটা প্রতিবাদী
আন্দোলনের কথা বলি, প্রতিবাদের ভাষার কথা বলি, ভবিষ্যতের একটা স্বপ্নের কথা বলি।
মানুষকে যখন দাবিয়ে রাখতে হয় তখন তাকে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত রাখা হয়। শিক্ষার সুযোগ যাতে না পায় তার জন্য আমাদের দেশে এটা করা
হোল একদম ধর্মের সঙ্গে মিশিয়ে দিয়ে। অস্পৃশ্য শূদ্রদের ধর্মে শিক্ষা গ্রহণ নিষিদ্ধ
করা হল –আর এটা করা হল যাতে তারা শিক্ষার সুযোগ না পায়।
শিক্ষার অধিকারটা মেয়েদেরও দেওয়া হল না।
তাহলে শিক্ষা থেকে বাদ দেওয়া হল কাদের?
বাদ দেওয়া হল শূদ্রদের, বাদ দেওয়া হল মেয়েদের। এরা কারা? যারা সমাজকে
টিকিয়ে রাখার জন্য শ্রমটা দেবেন। তাদের শ্রম কারা নেবে –উঁচু জাতির মানুষরা নেবেন।
তারা শিক্ষালাভ করবেন। আর তারা শ্রম দেবেন না। এখানেও নিষেধাজ্ঞা রইল। নীচুজাতের
মানুষের শ্রমের উপর উঁচুজাতের মানুষের
অধিকার থাকবে। নারীর শ্রমের উপর অধিকার থাকবে পুরুষের।
এই যে ব্যবস্থা এর বিরুদ্ধে একটা আন্দোলনের
ধারা, অর্থাৎ সমাজটাকে শোষণমুক্ত করা, সমাজটাকে গণতান্ত্রিক করার আন্দোলনও কিন্তু
জাতি বর্ণব্যবস্থা গড়ে ওঠার শুরু থেকেই বয়ে চলেছে। সেই আন্দোলনে একটা বড় ভূমিকা
রয়েছে গুরুচাঁদ ঠাকুরের।
দেখুন গুরুচাঁদ ঠাকুর শিক্ষার উপর জোর
দিচ্ছেন। শিক্ষার মাধ্যমে পিছিয়ে থাকা মানুষের উঠে আসার কথা, তাদের মুক্তিলাভের
কথা বলছেন, তার বাণীর মাধ্যমে। সেখানে বেঁচে থাকবার অন্য উপকরণের চেয়েও বেশি বলছেন
শিক্ষাগ্রহণকে, অর্থাৎ খাদ্য না থাকুক, সেটাও মানুষ সহ্য
করতে পারবে কিন্তু শিক্ষার অভাব তার থেকেও বড় অভাব। এই যে উপলব্ধির জায়গায় নিয়ে যাওয়া,
শিক্ষাগ্রহণে নিচু জাতির মানুষের মনে এই যে উপলব্ধি তৈরী করতে পারা এটা গুরুচাঁদ
ঠাকুরের একটা বিশাল অবদান।
বাংলার ক্ষেত্রে আলোচনা করলে দেখা যাবে
নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের মানুষ আজ সমাজের যে স্তরে পৌঁছাতে পেরেছেন হরিচাঁদ ঠাকুর
গুরুচাঁদ ঠাকুরের আগে সেই স্তরে তারা ছিলেন না। অন্য জাতিবর্গের মানুষের কিন্তু
সেরকম পরিবর্তন হয় নি।
শিক্ষাটাকে ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া, যেভাবে, যে ভাষায় দিলে সাধারণ মানুষ বুঝবে,
সেই ভাবে শিক্ষাবিস্তারের পদক্ষেপ নেওয়াটা গুরুচাঁদ ঠাকুরের একটা বড় অবদান। এখানে তিনি ধর্মকে হাতিয়ার হিসাবে
নিয়েছেন, তিনি ধর্ম বিশ্বাসটার উপর দাঁড়ান নি। মানুষকে জাগ্রত করার, শিক্ষার মধ্যে নিয়ে যাবার জন্য, বৈষম্য দূর করার জন্য
তিনি ধর্মকে এক ধরনের ভাষা অর্থাৎ প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন।
শিক্ষাকে আমাদের একটা হাতিয়ার হিসাবে নিতে
হবে। জাতিবিভক্ত সমাজ আর তার বিপক্ষে আন্দোলন কিন্তু শুরু থেকেই চলছে। বিভিন্ন
হাতে সেই আন্দোলন বিভিন্ন আঙ্গিক পেয়েছে। গুরুচাঁদ ঠাকুরের হাতে এই আন্দোলন পেয়েছে
একটা বিরাট গতি। কিন্তু শুরু থেকেই এই আন্দোলনের রয়েছে একটা বড় ঐতিহ্য ও একটা
প্রবাহমান ধারা।
বলবেন, কই এই আন্দোলনের কথা তো আমরা জানতে
পারি না। অনেক আন্দোলন ঘটেছে। আমরা ইতিহাসের পাঠ্য বইয়ে তো এই আন্দোলনের কথা পাই
না। কিছু ক্ষেত্রে একটু আধটু পাই। অন্যগুলোকে তো পাইনা।
আমার প্রশ্ন এত লোক গুরুচাঁদ ঠাকুরকে শ্রদ্ধা
করে, তাঁর আন্দোলন সম্পর্কে জানে, কিন্তু ইতিহাসে,
পাঠ্যপুস্তকে – বাচ্চারা যা পড়ে জানবে শিখবে, সেই ইতিহাসে কি গুরুচাঁদ ঠাকুরকে
পাই? না-পাই না। তাদের উপর কটা বই রচিত হয়? বই এর দোকানে কটা বই পাওয়া যায়? আমি
শুধু ধর্মগ্রন্থের কথা বলছি না, আমি বলছি তাঁর আন্দোলনের উপর বিশ্লেষণ, তাঁর আন্দোলনের উপর তথ্য, তাঁর জীবনীগ্রন্থের কথা।
সেরকমভাবে বেশি বই পাবেন না। কারণ আমাদের দেশের ইতিহাসের হিসাবে গুরুচাঁদ ঠাকুর
নেই।
একটা ইতিহাসকে আমরা চাপা দিয়ে রাখি।
ব্রাহ্মণবাদী সমাজব্যবস্থায় সেটাই শিক্ষা। এক ধরনের আন্দোলনের কথা না বললেই ভাল হয়
বা বললে, মন্দ বললে ভাল হয়।
এবার বলব, যদি এই ধারাকে বদল করতে হয় তবে তাদেরই করতে হবে যারা
এই ইতিহাসের বাহক, এই ইতিহাসের স্রষ্টা।
অন্যরা কেন করবে? আর এটা করতে হলে কিন্তু নতুন করে ইতিহাসকে রচনা করতে হবে।
ব্রাহ্মণ্যবাদী যে ইতিহাস আমাদের ধরে দেওয়া হয়েছে, এটা সঠিক ইতিহাস নয়, তার মধ্যে
অনেক ভুল আছে, অনেক ফাঁদ আছে। এটাকে নতুন করে সাজাতে হবে। আর তার জন্য চাই জ্ঞান,
শিক্ষা।
শিক্ষা বলতে কোন শিক্ষার কথা বলব?
যে শিক্ষা মানুষকে নতুন স্বপ্নের কথা সাম্যের কথা, গণতন্ত্রের কথা শেখায়, সেই
শিক্ষার কথাই বলব। শিক্ষা মানে
শুধু অ আ ক খ বা আ বা এ বি সি ডি নয়, শিক্ষা মানে শুধু নাম লিখতে পারা নয়। শিক্ষার
মাধ্যমে অসাম্য দূর করা, সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা। আর এটা না বুঝলে কিন্তু তাদের
প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা জানানো হয় না, যারা শিক্ষা বিস্তারের জন্য আন্দোলন করে
গেছেন। আক্ষরিক শিক্ষা অবশ্যই দরকার, কিন্তু সেটাই একমাত্র নয়। শিক্ষাটাকে ব্যবহার
করে, বিশ্লেষণ করে একটা বৈজ্ঞানিক মন গঠন করাই বড় ব্যাপার। শিক্ষার মাধ্যমে সঠিক
বেঠিক বুঝতে পারা, নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়া ও অধিকার আদায় করে নেওয়া। এক
কথায় শিক্ষাটাকে পুরো ব্যবহার করতে পারা। আমাদের সারা জীবন শিক্ষা নিতে হয়। শিক্ষা
মানে জ্ঞান আহরণ করা ও সেই জ্ঞান বিতরণ করা।
আমি শুধু নিজে শিক্ষাগ্রহণ করলাম, এটা শেষ
কথা নয়, সেই শিক্ষাটা কিভাবে ব্যবহার করলাম, অন্যকে কিভাবে শেখালাম এটা কিন্তু বড়
কথা। একজন শিখলো, সে অন্যকে শেখালো। একটা স্কুল হল, তার থেকে আর একটা স্কুল, আরো
একটা, এইভাবে অসংখ্য স্কুল তৈরী করা। গুরুচাঁদের কথাটা ভাবুন। তিনি গ্রামের পিছিয়ে
পড়া মানুষদের মধ্যে একের পর এক স্কুল করছেন। কার কাছ থেকে সাহায্য নিচ্ছেন?
ব্রাহ্মণ্যবাদীদের কাছ থেকে? না। তিনি গ্রামের নীচুজাতির কৃষক মানুষদের কাছ থেকে
সাহায্য সংগ্রহ করছেন, ইংরেজ সরকারের কাছ থেকে সাহায্য নিচ্ছেন। মাঝে তাঁকে অনেক
সাহায্য করেছিলেন খ্রীস্টান মিশনারী মীড সাহেব।
একদিকে শিক্ষা আহরণ করা অন্য দিকে
সেই শিক্ষা অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া। একজন শিক্ষিত হলেই কিন্তু গল্পটা এগোয় না।
সেই শিক্ষা চুঁইয়ে পড়তে হবে অন্যের মধ্যে। এটা আমার একটা দায়বদ্ধতা। আমার সামাজিক দায়বদ্ধতা। এটা কোন শখের ব্যাপার নয়। এটা কি ব্রাহ্মণ্যবাদী
শিক্ষা, অন্যকে শোষণ, বৈষম্য করার শিক্ষা, না এটা এমন শিক্ষা যা মানুষকে
সাহায্য করতে শেখায়।
বড় কথা বিশ্বাস নয়, ভক্তি নয়, যুক্তি।
যুক্তি জিনিসটা এমন, সেটা ধাক্কা দেয়। ধাক্কা দেয় সমাজে, ধাক্কা দেয় সংসারে এবং একনকি
নিজের বিশ্বাসকে। অর্থাৎ যুক্তিবাদী হওয়া। এটাই মানুষের সঙ্গে অন্য প্রাণীর ফারাক।
এই যুক্তি দিয়েই ব্রাহ্মণ্যবাদকে ভাঙতে হবে, এই প্রেক্ষাপটেই আমাদের গুরুচাঁদ
ঠাকুরকে ভাবতে হবে। যেখানে তিনি পুরোহিততন্ত্রের বিরোধিতা করছেন, শিক্ষার প্রসারের
কথা বলছেন ও বিভিন্ন দাবীর কথা বলছেন – সেখানে সব কিছুতেই রয়েছে যুক্তিবাদ।
ইতিহাস একটা ন্যায়সঙ্গত জায়গা। এই জায়গায়
কিন্তু দাবীটাকে নিয়ে যেতে হবে। একটা সমাজ সংস্কারক হিসাবে স্বীকৃতির জায়গা,
আমাদের ইতিহাসে তাঁর আন্দোলন ও একটা স্বীকৃতির জায়গা। সেই ইতিহাসে একটা
উল্লেখযোগ্যভাবে নাম উঠে আসবে বাংলার অন্ত্যজবর্গ ও মুসলমান কৃষক সমাজের নেতা
মহাপ্রাণ যোগেন্দ্রনাথ মন্ডলের ।
আমরা আম্বেদকরের কথা বলি। তপশিলি জাতি –
জনজাতির মানুষের বাইরে না বললেই ভাল হয়, বড় জোর সংবিধানের রচয়িতা বলেই চুপ করে
যাই। অনেকক্ষেত্রে মাহারদের নেতা, তপশিলি জাতির নেতা বলেই তাঁর স্বীকৃতি। এই
ভারতবর্ষে গণতন্ত্র, সাম্য এবং এক মুক্ত ভারত গড়ার ক্ষেত্রে বৃহত্তর সমাজের
জাগরণের ক্ষেত্রে তাঁর অবদানকে কিন্তু চেপে রাখা হয়, স্বীকৃতি দেওয়া হয় নি।
একটু ভেবে
দেখুন, আজকের সংবিধানে যে সুযোগ আছে, আজকে তপশিলি জাতির মানুষ যে সুযোগ সুবিধা পেয়েছে তার একটা বড় অবদান কিন্তু
আম্বেদকরের, একক ভূমিকা অবশ্যই নয়। কিন্তু একটা কথা আমরা ভুলে যাই – আম্বেদকর
গণপরিষদে গেলেন, সংবিধান রচনার সাথে যুক্ত হতে পারলেন। প্রথম তিনি কিন্তু
নির্বাচিত হতে পারলেন বাংলা থেকে। আর তাঁর সেই নির্বাচনে বড় ভূমিকা ছিল
যোগেন্দ্রনাথ মন্ডলের। ছিল মুকুন্দবিহারী মল্লিক সহ অন্যান্য তপশিলি নেতৃবৃন্দের।
আর যোগেন্দ্রনাথ মন্ডল, মুকুন্দবিহারী মল্লিক, রসিকলাল বিশ্বাসের মত তপশিলি
নেতৃত্ব গড়ে উঠতে পারত না, তার আগে এই বাংলায় অন্ত্যজবর্গ ও মুসলমান কৃষককে
ঐক্যবদ্ধ করে কৃষি সহ সামাজিক জাগরণ, শিক্ষাবিস্তার ও সমাজব্যবস্থা পাল্টানোর
আন্দোলন যদি গুরুচাঁদ ঠাকুর না করতেন। তাহলে এই যে পরম্পরা, এই যে একটার সঙ্গে
অন্যটার সম্পর্ক- এটাই ইতিহাসের বস্তু- এই ইতিহাসকেই সামনে তুলে ধরতে হবে আমাদের।
যোগেন্দ্রনাথ মন্ডল আজ মূলধারার ইতিহাস থেকে
সরিয়ে রাখা একজন ব্যক্তিত্ব বা নেতৃত্ব। এই ইতিহাসে জিন্না সহ আরো মুসলিম লীগের
নেতৃবৃন্দের কথা আছে- যদিও সঠিকভাবে নেই। কিন্তু যোগেন্দ্রনাথ মন্ডল,
মুকুন্দবিহারী মন্ডলদের কথা উহ্য থেকে গেছে।
আগেই বলেছি এটা ইতিহাস থেকে সযত্নে
ইচ্ছাকৃতভাবেই চেপে রাখা হয়েছে। যোগেন্দ্রনাথ মন্ডলের ইতিহাসকে সেইভাবেই চেপে
রাখার চেষ্টা হয়েছে।
আজ বাংলার অন্ত্যজবর্গের মানুষ, কৃষক মানুষ,
দলিত ও মুসলমান মানুষ যারা গ্রামীন বাংলার সমাজ জাগরণ ঘটিয়েছিল – সমাজকে
গণতান্ত্রিক করার জন্য গ্রাম বাংলার জাগরণে যাদের রয়েছে এক বড় অবদান- তাদের কথা
বলতে গেলে কিন্তু যোগেন্দ্রনাথ মন্ডলের কথা আমাদের বড় করেই বলতে হয়। তাঁকে নিয়ে,
তাঁর আন্দোলন প্রসঙ্গে, সেই আন্দোলনের প্রভাব সম্পর্কে নানাভাবে মুল্যায়ন হতে পারে।
কেউ বলবেন ঐ সময়ে এটা করলে ভাল হত, ওটা না করলে ভাল হত। কিন্তু মূল্যায়নটা দরকার।
কিন্তু ঐতিহাসিক মাপকাঠিতে নীরবতা সেটা কি সাংঘাতিক শত্রুতা আমরা অনেক সময় খেয়াল
করি না, উপলব্ধি করতে পারি না। এটা গুরুচাঁদ ঠাকুর, ই.ভি. রামস্বামী, নারায়ণগুরু, যোগেন্দ্রনাথ আম্বেদকরের ক্ষেত্রে করা হয়েছে যাতে আগামী
প্রজন্ম, তার উত্তরসূরীরা, আগামী দিনের মানুষ জানতে পারবে না তাঁরা কারা, সমাজের
জন্য তাঁরা কী কী অবদান রেখে গেছেন। তাই গুরুচাঁদ ঠাকুর, ই. ভি. রামাস্বামী, নারায়ণগুরু,
ফুলে, যোগেন্দ্রনাথ ও আম্বেদকরের ঐতিহাসিক
আন্দোলনের উপেক্ষিত ইতিহাসকে বিশ্লেষণ, তাদের মধ্যেকার সম্পর্ক পর্যালোচনা করে
নতুন ইতিহাস লিখতে হবে আমাদের।
আমাকে বা অন্য যে কাউকে বলুন আমাদের দেশের বা
বাইরের কোন দেশের কোন সময়ের কোন কোন রাজা ছিলেন, জিজ্ঞেস করুন নেহরু, গান্ধী,
চার্চিলের কথা, আমরা বলে দিতে পারব – না পারলেও বই পুস্তকে উত্তরটা পেয়ে যাব।
কিন্তু এতক্ষণ যে নামগুলোর কথা আলোচনা করলাম, আমাদের ঘরের কাছের নামগুলো, যে
নামগুলো প্রত্যেকেই এক একটা বিরাট ইতিহাসকে চিহ্নিত করছে, এই নামগুলো কোথায়? এই
নামগুলো কেন হারিয়ে যাচ্ছে, এর জন্য দায়ী কারা? এটা খোঁজাই আজকের প্রজন্মের
গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য- নাহলে আমরাও কিন্তু বড়মাপের অপরাধের ভাগীদার হয়ে থাকব।
নমস্কার।
______
(তথ্য সংগ্রহ – মতুয়া সুহৃদ। বিশেষ শারদ সংকলন ২০০৩।
সম্পাদকঃ ডাঃ উজ্জ্বল কুমার বিশ্বাস)
Comments
Post a Comment