Skip to main content

Posts

Showing posts from January, 2015

গুরুচাঁদ ঠাকুরের শেষ জীবনের আশা ও তাঁর অনুগামী এবং পরবর্তী বংশধরদের বিপথ গামীতা

গুরুচাঁদ ঠাকুরের শেষ জীবনের আশা ও  তাঁর অনুগামী এবং পরবর্তী বংশধরদের বিপথ গামীতা                  গুরুচাঁদের প্রত্যক্ষ শিক্ষ *দ্বিতীয় খন্ড                       * ডাঃ মণীন্দ্রনাথ বিশ্বাস*                       পৃষ্ঠা ক্র মাংক ১২৪ থেকে ১২৮    গুরুচাঁদ ঠা কুরের জন্ম হ ই য়াছিল ১৮৪৬ খ্রীষ্টাব্দে (১৩ই মার্চ) এবং হরিচাঁদ ঠাকুরের মৃত্যু   হইয়াছিল ১৮৭৮ খ্রীষ্টাব্দে ৬ই মার্চ)। অর্থাৎ গুরুচাঁদ ঠাকুরের  বয়স যখন বত্রিশ বৎসর তখন তাঁহার পিতৃবিয়োগ ঘটে। তাঁহার জীবনের এই বত্রিশটি বৎসরের ভিতরে বারোটি   বৎসর মাত্র কাটিয়াছিল প্রাতিষ্ঠানিক বিদ্যাভ্যাসের ভিতর দিয়া। বাকি কুড়ি বৎসর সর্বক্ষণ তিনি পিতার সান্নিধ্যে কাটাইয়াছেন। তিনি পিতার সহিত বিভিন্ন ভক্তমহলে পরিভ্রমণ করিয়া আপন মানুষদের বহুবিধ সমস্যা এবং দুঃখ-দুর্দশার সকরুণ চিত্র স্বচক্ষে দর্শন করিয়াছেন। তাহাদের আর্থিক সামাজিক এবং মানসিক অবস্থাকে হৃদয় দিয়া উপলব্ধি করিয়াছেন। সমস্ত সময় তিনি পিতাকে অনুসরণ করিয়া চলিতেন এবং তাঁহার কার্যকলাপকে অনুধাবন করিতে চেষ্টা করিতেন। তিনি যখন দেখিতেন পিতা তাঁহার অনুগামীদের একটি বাস্তব সত্য বুঝাইবার নিমিত্ত কতভাবে

মতুয়াদের দিশা ও দশা

মতুয়াদের দিশা ও দশা প্রবাদ আছে ‘ডুবন্ত মানুষ বাঁচার জন্য খড়-কুটোও ধরে ভাসতে চায়।’ যদিও তখন তার বোঝার ক্ষমতা থাকে যে, ঐভাবে ভেসে থাকা যায় না।     দেশ ভাগের বলি এই মতুয়া সম্প্রদায় কিন্তু তবুও ঐ খড়-কুটোর ভরসা করে বাঁচার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। যত সংখ্যক বেঁচে ফিরেছে। হয়তোঃ ততধিক ফিরতেও পারেনি। তবুও মানুষের ধর্মই হচ্ছে বেঁচে থাকার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করা। সংগ্রাম করা।     সেন রাজাদের কোপে পড়ে যারা নিজ ধর্ম(বৌদ্ধ ধম্ম) থেকে পতিত হয়েছিল। সেই পতিতদের উদ্ধারের কাজে লিপ্ত হন প্রায় পৌনে ২ 00 বছর আগে (১৮৩০সালে) এক অজ পাড়াগায়ের যুবক। তিনি তার উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে উপলব্ধি করেন সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেনীর মানুষদের প্রতি উচ্চ শ্রেনীর মানুষদের পশুর মত ব্যবহার করার কারণ।       তাই তিনি ঘোষণা করেন- আমি বেদ-বিধি শৌচাচার মানিনা। আর তোমরা –খাও বা না খাও সন্তানদের শিক্ষিত কর। তোমরা- কোথায় ব্রাহ্মণ দেখ, কোথায় বৈষ্ণব ।   এরা - স্বার্থ বশে অর্থ লোভী যত ভন্ড সব ।। আমার কাছে- মানুষে মানুষে কোন ভেদা ভেদ নেই। তোমরা এই ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে মানুষের প্রতি নিষ্ঠা রাখো। তোমাদের কোন ভগবান নে

মহাপ্রভুর পুর্ব পুরুষদের বিবরণ-

হরিলীলামৃত ১ম সংস্করণ । বাংলা ১৩২৩ সাল ।পৃষ্ঠা নং-১২ দ্বিতীয় তরঙ্গ । বিষয়ঃ- মহাপ্রভুর পুর্ব পুরুষদের বিবরণ । তুলে দিলাম । এখানে মৈথিলী ব্রাহ্মণ কোথায় লেখা আছে ? জানাবেন কি? মহাপ্রভুর পুর্ব পুরুষদের বিবরণ- নাম ছিল রামদাস,            রাড় দেশে বাস, তীর্থযাত্রা করি বহুদিন । স্ত্রী পুরুষ দুই জনে,          শেষে যান বৃন্দাবনে, কৃষ্ণ প্রেমে হ'য়ে উদাসীন ।। কৃষ্ণ নাম উচ্চারণে,          ধারা বহিত নয়নে, হেরিলে পবিত্র হয় জীব । কাশী কাঞ্চী মধুপুরী,         সরস্বতী গোদাবরী, শান্তিপুর আদি নবদ্বীপ ।। বিষয় সম্পত্তি ত্যজে,          তীর্থ-যাত্রা পদব্রজে, পরে যান শ্রীচন্দ্রশেখর । নব গঙ্গা নাম শুনি,         দেখিবারে সুরধুনী, লক্ষীপাশা এল তার পর ।। কৃষ্ণভক্ত শিরোমণি,            সবলোকে ধন্য মানি, যত্ন করি রাখিল তথায় । কৃষ্ণ ভকতের সঙ্গে,         প্রেমকথা রসরঙ্গে, থাকিলেন শ্রীলক্ষ্মী পাশায় ।। চন্দ্রমোহন তার পুত্র,        ক্রমে শুন তার সূত্র, তার পুত্র সুকদেব নাম । লক্ষী পাশার উত্তর,            নব গঙ্গা নদী পার, বাস করে জয় পুর গ্রাম ।। তস্য পুত্র কালী দা