Skip to main content

Posts

Showing posts from August, 2017

সূক্ষ্ম সনাতন-এর ব্যাখ্যা লেখক -প্রদীপ কুমার বিশ্বাস

সূক্ষ্ম সনাতন-এর ব্যাখ্যা লেখক -প্রদীপ কুমার বিশ্বাস ‘সূক্ষ্ম’   শব্দের অর্থ অনেক জ্ঞাণী মানুষের গবেষণালব্ধ সুগভীর জ্ঞান। ‘সনাতন’ শব্দের অর্থ চিরন্তন সত্য। আর চিরন্তন সত্য হচ্ছে সৃষ্টি তত্ত্বের মাটি, জল, বাতাস, তাপ। এই চার উপাদানের সমন্বয়ে জীবনের সৃষ্টি বা জন্ম। সৃষ্টি বা জন্ম যেমন সত্য, তেমনি সৃষ্টি বা জন্ম নেওয়া জীবের (প্রাণী, উদ্ভিদ) মৃত্যু বা ধ্বংস হবে এটাও সত্য। সৃষ্টির জীব ধ্বংস হয়ে মহাশূন্যে বিলীন বা স্ব স্ব উপাদানে মিশে যাবে। অর্থাৎ ক্ষিতি (মাটি), অপ (জল), তেজ (তাপ বা আলো), মরুৎ (বায়ু) ও ব্যোম  (মহাশূণ্য) এই পঞ্চভুতের ভূমিকাই চিরন্তন সত্য অর্থাৎ সনাতন। এই সৃষ্টিতত্ত্বে এবং বিনাশতত্ত্বে পঞ্চভুতের বাইরে কিছু নেই। পঞ্চভুতের মধ্যে বিপরীত দু শক্তি ঋণাত্মাক ও ধনাত্মাক শক্তি । অর্থাৎ পিতৃশক্তি ও মাতৃশক্তির সমন্বয়ে জীবজগতের সৃষ্টি । প্রকৃতির নিয়মে সৃষ্টি, প্রকৃতির নিয়মে বিনাশ; এটাই সূক্ষ্ম সনাতন দর্শন। যাকে বলে চিরন্তন সত্য ।       এই “সূক্ষ্ম সনাতন” – অর্থাৎ চিরন্তন সত্যকে মেনে নিয়ে সৃষ্ট জীবের সার্বিক কল্যানের জন্য সৎজ্ঞা ন , সৎকর্ম – এ ই দু’য়ের সমন্বয়ে সৃষ্ট

“মতুয়া ধম্ম” স্বতন্ত্র ধম্মের স্বীকৃতি প্রসঙ্গে লেখক - প্রদীপ কুমার বিশ্বাস

“মতুয়া ধম্ম” স্বতন্ত্র ধম্মের স্বীকৃতি প্রসঙ্গে প্রদীপ কুমার বিশ্বাস     শুরুতেই প্রশ্ন আসতে পারে “মতুয়া ধর্ম” না বলে আমি কেন “মতুয়া ধম্ম” বলছি। এক্ষেত্রে অবশ্যই জানা দরকার “ধম্ম” এবং “ধর্ম” কখনই এক নয়। ‘ধর্ম’ শব্দটা সংকীর্ণ অর্থে ব্যবহৃত হয়। ধর্ম একজন ব্যক্তি বিশেষের মত। তাছাড়া ‘ধর্ম ’ শব্দের মধ্যে রয়েছে কাল্পনিক, অবৈজ্ঞানিক, জন্মান্তরবাদ, কুসংস্কার যুক্ত ভাবধারা। কোনো ব্যক্তি কখনই সর্বজ্ঞানী হতে পারে না।  তাই কোনো ব্যক্তি নির্দেশিত নির্দেশিকা ত্রুটিমুক্ত নয়। ধর্মের মধ্যে রয়েছে কর্মকে তুচ্ছ করে মৃত্যুর পর অবাস্তব আত্মার অবস্থান নিয়ে মানুষকে ঠকানো। অপর দিকে ‘ধম্ম’ কোনো ব্যক্তি  বিশেষের মত বা নির্দেশ নয়। ‘ধম্ম’ শব্দের অন্তর্নিহিত দর্শন হ’ল সৎজ্ঞান, সৎকর্ম এবং উভয়ের সমন্বয়ে সমস্ত মানুষের হিত বা কল্যান সাধন করা। যেখানে কোনো জন্মান্তরবাদ, স্বর্গ-নরক এই  ধরণের কোনো কল্পনার স্থান নেই। তাই সংকীর্ণ অর্থে ‘ধর্ম’ মানুষের মধ্যে সামাজিক বা সম্প্রদায়গত বিদ্বেষ তৈরি করে। যার বর্তমান স্বরূপ সারা বিশ্বে ধর্মীয় মৌলবাদের মতো অকল্যানকারী অসাম্যবাদের বিভিষীকাময় রূপ। যে সংকীর্ণ ধর্মীয় মৌলবাদে

ভয়ঙ্কর মতুয়া ও ব্রাত্য মতুয়া লেখক- প্রদীপ কুমার বিশ্বাস

ভয়ঙ্কর মতুয়া ও ব্রাত্য মতুয়া   লেখক- প্রদীপ কুমার বিশ্বাস হরিচাঁদ ঠাকুরের সমাজ দর্শনের বাস্তবতা ও গভীরতা অন্বেষণ করিতে গিয়া মতুয়া কাহারা তাহা মর্মে মর্মে উপললব্ধি করিলাম। সেই ভয়ঙ্কর মতুয়াদের সারনিকা তুলিয়া ধরিলাম। ·       যাহারা মতুয়া নিশান ঊড়িয়ে কাঁসর ডঙ্কা বাজিয়ে পথ চলিতে চলিতে বৈদিক দেব-দেবীর মন্দির দেখিলে নিশানকে বিশ্রাম দিয়ে বাদ্য-বাজনা থামিয়ে হরিচাঁদ, হরিবোল ভুলিয়া গিয়া ঐ বৈদিক মন্দিরে মাথা ঠুকিয়া গড়াগড়ি খান; তাহারাই মতুয়া। ·       যাহারা মতুয়া সাধু সাজিবার জন্য যতরকমের মালা আছে তাহা গলায় পরিধান করিয়া হরিচাঁদ শান্তিমাতার নাম করিয়া শিষ্য-শিষ্যা বানাইয়া তাদের কর্ণে কৃষ্ণমন্ত্র দিয়া হরিচাঁদ ঠাকুরকে অপমান করেন; তাহারাই মতুয়া। ·       যাহারা হরিমন্দির তৈরি করিয়া মন্দিরের মধ্যে হরিচাঁদ শান্তিমাতার মূর্তি বসাইয়া মন্দিরের বহিঃরঙ্গে “হরেকৃষ্ণ”  নাম লিখিয়া বৈদিক দেব-দেবীর ছবি দিয়া হরিচাঁদ ঠাকুরের মহান দর্শনকে বিসর্জণ দিতেছেন; তাহারাই মতুয়া। ·       যাহারা পিতা-মাতার প্রতি কর্তব্য পালন না করিয়া, হরিচাঁদ ঠাকুরের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুল, কাঁচকলা দেখাইয়া বৈদিক তীর্থধামে বিহার করিয়া

কুরু-পান্ডবের যুদ্ধের আদলে মতুয়ারা লেখক- প্রদীপ কুমার বিশ্বাস

কুরু-পান্ডবের যুদ্ধের আদলে মতুয়ারা লেখক- প্রদীপ কুমার বিশ্বাস        প্রথমেই মতুয়াদর্শনে বিশ্বাসী অসংখ্য মানুষের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি । কারণ , এই  পর্যালোচনায় আপনারা হয়তঃ আঘাত পেতে পারেন। কিন্তু আমার মুখ্য উদ্দেশ্য মতুয়ারা কিভাবে চক্রান্তের ফাঁসে আটকে ধ্বংস হচ্ছে তার দিকগুলি নির্দেশিত করা। আর মতুয়াদের ধ্বংসের পিছনে কে বা কারা তা বোঝানোর জন্য এই উপস্থাপনা। এই উপস্থাপনায় কোনো মতুয়াকে অসম্মানিত করা আমার উদ্দেশ্য নয়। বরং মতুয়াদেরই ভবিষ্যতের বিপদ থেকে সতর্ক করাটাই আমার উদ্দেশে। তাই অসংখ্য মতুয়াদের কাছে বিনীত আবেদন কোন প্রসঙ্গ উপস্থাপনায় আপনারা অসহিষ্ণু হবেন না। আপনারা বিচার বুদ্ধি দিয়ে বিষয়টা আন্তরিকভাবে ভেবে দেখবেন।     অবতারনা করছি, কুরু- পান্ডবের ভ্রাতৃঘাটি যুদ্ধের।  ধৃতরাষ্ট্র ও পান্ডুর দুই ভাই (বিদূর নামে অন্য এক ভাইও ছিল) । ধৃতরাষ্ট্রের সন্তানেরা কৌরব বা কুরু নামে পরিচিত। পান্ডব সন্তানেরা পান্ডব নামে পরিচিত। অর ্থাৎ জ্যাঠতুতো কাকাতুতো ভাইদের মধ্যে রাজ্যপাট এবং ক্ষমতার জন্য কুরু-পান্ডবদের মধ্যে যুদ্ধই কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ।     কৌরব বা কুরু পক্ষের মুখ দূর্যোধন, পান্ডব

“দেশ মাতা” বলে কারে? মাটি নাকি মা’টি তাহা বল দেখি ভাই। লেখক- জগদীশচন্দ্র রায়

“দেশ মাতা” বলে কারে ? মাটি নাকি মা’টি তাহা বল দেখি ভাই। লেখক- জগদীশচন্দ্র রায় দেশ কাদের নিয়ে গঠিত ? দেশের মানুষদের নিয়ে নাকি দেশের মাটি নিয়ে ? এ সম্পর্কে গুরুচাঁদ ঠাকুরের ব্যাখ্যা                              “ দেশ-মাতৃকার তরে স্বদেশী সাজিবে। “দেশ মাতা” বলে কারে বুঝিয়াছ সবে।। মাটি নাকি মা’টি তাহা বল দেখি ভাই। ‘দেশ মাতৃকার’ ব্যাখ্যা বুঝে নিতে চাই।। যে মাটিতে নাহি কোন মানব বসতি। কেবা তারে ডাকে মাতা কে তার সন্ততি।। দেশ নহে মাটি মাত্র “দেশ”-দেশ বাসি। -গুরুচাঁদ চরিত পৃঃ ৩৫০ দেশমাতার জন্য আপনারা স্বদেশী হতে চান, ভাল কথা। কিন্তু এই ‘দেশমাতা’ কে বা কি? সেটা আপনারা কিছু কি বুঝেছেন? দেশের মাটিই কি দেশ? নাকি দেশের জনগণকে নিয়ে দেশ? এটা আপনারা একটু বলুন তো? কারণ, যে মাটিতে কোন মানুষ বসবাস করে না, সেই মাটিকে কেউকি ‘মা’ বলে ডাকে? আর সেই মাটির সন্তানরাই বা কারা? আপনারা এবার এই কথা ভাল করে বুঝুন যে, দেশের মাটি দেশ নয়। দেশবাসী বা দেশের জনগণ হচ্ছে আসল দেশ। ( এই একই কথা আমরা দেখতে পাই রবীন্দ্রনাথের ‘আত্মপরিচয়’ গ্রন্থে-“দেশ মানুষের সৃষ্টি। দেশ মৃন্ময় নয়, সে চিন্ময়। মা

স্বাধীনতা সম্পর্কে গুরুচাঁদ ঠাকুরের বক্তব্য লেখক – জগদীশচন্দ্র রায়

স্বাধীনতা সম্পর্কে গুরুচাঁদ ঠাকুরের বক্তব্য লেখক – জগদীশচন্দ্র রায়  (বই- গুরুচাঁদ ঠাকুরের সমাজ সংস্কার ও মুক্তির দিশা)  স্বাধীনতা যদি আসে,  তা’হতে কি শ্রেষ্ঠ আছে?           বুঝিনা যে এত অন্ধ নই । তবে যে নামিনা পথে,   বহু বাধা আছে তা’তে         এড়াইতে পারি বাধা কই? -গুরুচাঁদ চরিত পৃঃ ৪৪২         স্বাধীনতার থেকে শ্রেষ্ঠ কিছু আছে কি? স্বাধীনতার মহত্ত্ব যে বুঝিনা এত বড় অন্ধতো আমি নই।   তবে যে স্বাধীনতা আসবে সেটাকি দেশের সকল জনগণের জন্য? নাকি মুষ্টিমেয় উচ্চবর্ণীয়দের জন্য? বর্তমান পরিস্থিতিতে এই স্বাধীনতা আমাদের নিম্নবর্ণীয়দের জন্য সুফল ডেকে আনবেনা। সেটা সুবিধাবাদী উচ্চবর্ণীয়দেরই স্বাধীনতা হবে। আমরা আজ যেভাবে ব্রাহ্মণ্যবাদের যাতা কলে পিষে মরছি, অশিক্ষার অন্ধকারে ডুবে আছি, জাতব্যবস্থা  বর্ণব্যবস্থার শিকল আমাদেরকে যেভাবে প্রগতি থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে; স্বাধীনতার পরেও কিন্তু এর কোন পরিবর্তন হবেনা। যার জন্য আমি এই পথে নামতে পারছিনা। আমার বিবেক বাধা দান করেছে। আর সেই বাধাকে আমি  এড়িয়ে যেতে পারিনা।     আচ্ছা, তর্কের খাতিরে ধরে নেই যে, অনুন্নত জাতিগুলি এক সঙ্গে স্বাধীনতার আন্দো