হরিলীলামৃত ছাপানোর ইতিহাস বিভ্রান্তিকর কেন? এটা কি কারো বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য করা হয়েছে? লেখক- জগদীশচন্দ্র রায় মতুয়াধর্ম দর্শনের প্রধান আকর গ্রন্থ ‘শ্রীশ্রীহরিলীলামৃত’ কিভাবে ছাপানো হয়েছিল, সেকথার বিস্তারিত উল্লেখ আছে দ্বিতীয় আকর গ্রন্থ, ‘শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ চরিত’-এ। কিন্তু তৃতীয় আকর গ্রন্থ ‘সোনার মানুষ গোপাল সাধু’-এর সঙ্গে ২য় আকর গ্রন্থের ‘হরিলীলামৃত ছাপানোর ঘটনার অনেক বৈপরিত্য দেখা যায়। যদিও ২য় ও ৩য় আকর গ্রন্থের কবি একজন। আচার্য মহানন্দ হালদার। যাইহোক আসুন আমরা এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত বিচার বিশ্লেষণের চেষ্টা করি। ‘শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ চরিত’- কবি মহানন্দ হালদার- ১ম প্রকাশ ১৯৪৩ সাল। পৃ. ৩৩৭-৩৩৮ অনুসারে আমরা দেখতে পাই। প্রভু তবে ডাক দিয়া কহে হরিবরে। “চলে যাও কলিকাতা গ্রন্থ ছাপিবারে।। সুধন্য, গোপাল আর তুমি একজন। তিন জনে এক সঙ্গে করহ গমন।।” প্রভুর আজ্ঞাতে তিনে তখনি ছুটিল! পরদিনে কলিকাতা উপস্থিত হ’ল।। পাণ্ডুলিপি প্রেসে দিলে গণ্ডগোল হয়। প্রেস’য়ালা বলে “ইহা ছাপা নাহি যায়।।” কারণ জিজ্ঞাসা করে সুধন্য কুমার। প্রেস বলে “এক স্থানে আপত্তি আমার।। নমঃ