বহুজন সমাজ কেন একতা বদ্ধ হতে পারছে না? কী করলে সংঘবদ্ধ হওয়া যাবে?
লেখক – জগদীশ রায়
বুদ্ধিহীন সরলতা আর নাহি চলে
হেথা
কূট-বুদ্ধি বটে
দরকার। (গুরুচাঁদ চরিত পৃ.৪৪৩)
সমাজ আজ দিশা হীন। যেদিকেই হাত দেওয়া হচ্ছে সেদিকেই
বর্ণবাদীদের কূটচক্রে পরাস্ত হচ্ছে। সমাজে গতানুগতিকতা দিয়ে সব সময় চলে না।
পরিস্থিতির উপর নজর রেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের দরকার। তার
জন্য দরকার ‘কূট-বুদ্ধির’। আপনার শত্রু সব সময় চাইবে আপনার অস্ত্রদিয়ে
আপনাকেই ঘায়েল করতে। যার উদাহরণ প্রতিনিয়ত চোখে পড়ছে।
তো এই সমস্যা থেকে উদ্ধার পেতে হলে
আরো দরকার-হ্যাঁ আপনাকে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন
শক্তিশালী হওয়া। শক্তির প্রদর্শন করা। এটাই অন্যতম পথ।
আর এই শক্তি প্রদর্শনের জন্য অবশ্যই
দরকার-
যে জাতির দল নাই, সে জাতির বল নাই।
যে জাতির নাই
রাজা সে জাতি হয় না তাজা।।
আপনাকে রাজা হতে হবে। তার জন্য
আপনাকে দল গঠন করতে হবে। তবে সেই দলে যেন মধ্যস্বত্ত্ব জমিদারী না থাকে। সেটা
থাকলে কিন্তু কোনোদিনই সাফল্য আসবে না। তার জন্য আপনাকে এই শর্ত মেনে চলতে হবে-
মধ্যস্বত্ত্ব
জমিদারী ধর্ম্ম ক্ষেত্রে নাই।
ভিন্ন ভিন্ন দল কেহ
করোনা গোঁসাই। (গুরুচাঁদ চতির
পৃ. ৫৭৪)
এতো কিছু নির্দেশের পরেও কেন বঞ্চিত
হতে হচ্ছে? তার কারণ হচ্ছে
জাতি ব্যবস্থা। যারা এটার নির্মাণ করেছে তারাই এটার সুবিধাভোগী। তো আপনাকে সেই
সুবিধা দেওয়া বন্ধ করতে হবে। কারণ-
ব্রাহ্মণ রচিত যত
অভিনব গ্রন্থ।
‘ব্রাহ্মণ
প্রধান’ মার্কা বিজ্ঞাপন যন্ত্র। (গুরুচাঁদ চরিত
পৃ. ২৩)
হ্যাঁ, এই ‘ব্রাহ্মণ প্রধান’ মার্কা বিজ্ঞাপন যন্ত্র
আপনাদের ধন, সম্পত্তি, বিদ্যা বুদ্ধি সব কিছুকে নাশ করছে। এর থেকে বেরিয়ে আসতে না
পারলে আপনার নিস্তার নেই। তবে আপনাকে মনে
রাখতে হবে-
মানুষ সবার শ্রেষ্ঠ
ভেদাভেদ ইষ্টানিষ্ট
কর্মগুণে মান পায়
জন্মগুণে নয়। (গুরুচাঁদ চরিত পৃ. ৭৩)
আপনার কর্তব্য হবে-
জীবে দয়া, নামে রুচি মানুষেতে নিষ্ঠা।
ইহাছাড়া আর যত সব
কৃয়া ভ্রষ্টা।
(শ্রীশ্রীহরিলীলামৃত পৃ. ১১)
অর্থাৎ মানুষই শ্রেষ্ঠ। তাকে
ভালোবাসো।
Comments
Post a Comment