Skip to main content

Posts

Showing posts from October, 2024

শুধুমাত্র জাতিগত কারনেই কি গুরুচাঁদ ঠাকুরের এই শিক্ষা আন্দোলন ও সমাজ সংস্কারমূলক আন্দোলনের কথা ইতিহাসে স্থান পায়নি? লেখক- জগদীশচন্দ্র রায়

  শুধুমাত্র জাতিগত কারনেই কি গুরুচাঁদ ঠাকুরের এই শিক্ষা আন্দোলন ও সমাজ সংস্কারমূলক আন্দোলনের কথা ইতিহাসে স্থান পায়নি?                                      লেখক- জগদীশচন্দ্র রায়  (আমার লেখা বই- 'গুরুচাঁদ ঠাকুরের শিক্ষা আন্দোলন' থেকে তুলে দিলাম)      একবার ভেবে দেখুন, একজন ধর্মগুরু (প্রকৃত পক্ষে সমাজ সংস্কারক) যিনি কিনা শিক্ষার আন্দোলন করার জন্য তাঁর অনুগামীদের নির্দেশ দিয়েছেন। আর সেই নির্দেশ শিরোধার্য করে গ্রামে গ্রামে পাঠশালা নির্মাণের মধ্য দিয়ে শিক্ষার প্রদীপ জ্বলতে শুরু করেছে। এটা কি এক অভাবনীয় ঘটনা নয়? ভেবে দেখুন তো, আর কোন ধর্মগুরু এইভাবে অস্পৃশ্য পতিত মানুষের  মধ্যে শিক্ষার আলো জ্বেলেছেন কিনা? এটা ইতিহাস বিরল ঘটনাগুলির মধ্যে অন্যতম ঘটনা নয় কি? যদিও এই ঘটনা বর্ণবাদীদের দ্বারা রচিত ইতিহাসে তেমন করে এখনও স্থান পায়নি।    তবে আমরা ‘ডাঃ অতুলচন্দ্র প্রধানের’ গবেষণা গ্রন্থে দেখতে পাই- In Bengal, even though the Depressed class pupils foun...

গুরুচাঁদের শিক্ষা আন্দোলনে ডাঃ সি. এস. মীডের অবদান।- লেখক- জগদীশচন্দ্র রায়

  গুরুচাঁদের শিক্ষা আন্দোলনে ডাঃ সি. এস. মীডের অবদান। লেখক- জগদীশচন্দ্র রায়                   (আমার লেখা বই 'গুরুচাঁদ ঠাকুরের শিক্ষা আন্দোলন' থেকে তুলে দিলাম)       প্রবাদ আছে প্রত্যেকের সাফল্যের পিছনে একজন শুভান্যুধায়ী থাকে। যার শুভকামনা ও সহযোগীতা বিনা সেই সাফল্য অর্জন করা অসম্পূর্ণ থেকে যায়।    গুরুচাঁদ ঠাকুরের এইযে যে, শিক্ষা আন্দোলন ও সামাজিক আন্দোলন, তার প্রথম প্রেরণা হচ্ছেন তাঁর পিতা হরিচাঁদ ঠাকুর। যার কাছে তিনি দায়বদ্ধ ছিলেন। কিন্তু অন্যজন, যিনি গুরুচাঁদ ঠাকুরের পাশে সর্বক্ষণ ছায়ার মত থেকে সমস্ত কাজের জন্য সহযোগীতা করেছেন তিনি হচ্ছেন, অস্ট্রেলিয়ান মিশনারি ডাঃ সি. এস. মীড্‌ (ডাঃ সিসিল সিলাস মীড্‌) । যিনি খৃষ্ট ধর্মের প্রচারের   জন্য এবং দীন দরিদ্রদের সেবা করার জন্য ঘুরতে ঘুরতে বঙ্গদেশে আসেন। আর ১৯০৬ সালে প্রথমে ফরিদপুরে   (জেলা) আসেন । তারপর ঘটনা ক্রমে তিনি তাঁর উদ্দেশ্য নিয়ে ওড়াকান্দীতে গুরুচাঁদ ঠাকুরের কাছে আসেন এবং তাঁর উদ্দেশ্যের কথা ঠাকুরের কাছে ব্যক্ত করেন। তিনি ছিলেন একা...

গুরুচাঁদের শিক্ষা আন্দোলনের ফলভোগী বর্তমান প্রজন্ম কি জানে এই ফল কিভাবে হয়েছে? - লেখক - জগদীশচন্দ্র রায়

  গুরুচাঁদের শিক্ষা আন্দোলনের ফলভোগী বর্তমান প্রজন্ম কি জানে এই ফল কিভাবে হয়েছে? লেখক- জগদীশচন্দ্র রায়  (আমার লেখা বই 'গুরুচাঁদ ঠাকুরের শিক্ষা আন্দোলন' থেকে তুলে দিলাম)   আমরা দীর্ঘক্ষণ জানলাম গুরুচাঁদ ঠাকুর পিতৃ আজ্ঞা পালন করার জন্য অর্থাৎ শিক্ষা আন্দোলনকে প্রসারিত করার জন্য কিভাবে প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন। উচ্চবর্ণীয়দের ষড়যন্ত্রের কাছেও তিনি হার মানেননি। কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে যারা এই  মহামানবের অবদানের সুফল ভোগ করে শিক্ষিত হয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন তারা কি কখনও পিছন ফিরে দেখেছেন, এই অসম্ভব কাজ কিভাবে সম্ভব হয়েছে>     না এটা শুধু আমার মুখের কথা নয়। কবি মহানন্দ হালদারই এই প্রশগুলো তপশিলীদের  কাছে তুলে ধরেছেন ।  আজি যারা তপশীলী জাতি সাজিয়াছে। শিক্ষা ছাড়া উন্নতি কি সম্ভব হয়েছে।। শিক্ষার প্রেরণা তারা কোথা হতে পায়। আদি-গুরু গুরুচাঁদ আদি-শিক্ষা দেয়।।    -গুরুচাঁদ চরিত- পৃঃ ১৪৫         আজ আপনারা যারা তফশিলী certificate বের করে তফশিলী হয়েছেন, তা...