Skip to main content

গুরুচাঁদের শিক্ষা আন্দোলনে ডাঃ সি. এস. মীডের অবদান।- লেখক- জগদীশচন্দ্র রায়

 


গুরুচাঁদের শিক্ষা আন্দোলনে ডাঃ সি. এস. মীডের অবদান।

লেখক- জগদীশচন্দ্র রায়

               (আমার লেখা বই 'গুরুচাঁদ ঠাকুরের শিক্ষা আন্দোলন' থেকে তুলে দিলাম) 

     প্রবাদ আছে প্রত্যেকের সাফল্যের পিছনে একজন শুভান্যুধায়ী থাকে। যার শুভকামনা ও সহযোগীতা বিনা সেই সাফল্য অর্জন করা অসম্পূর্ণ থেকে যায়।

   গুরুচাঁদ ঠাকুরের এইযে যে, শিক্ষা আন্দোলন ও সামাজিক আন্দোলন, তার প্রথম প্রেরণা হচ্ছেন তাঁর পিতা হরিচাঁদ ঠাকুর। যার কাছে তিনি দায়বদ্ধ ছিলেন। কিন্তু অন্যজন, যিনি গুরুচাঁদ ঠাকুরের পাশে সর্বক্ষণ ছায়ার মত থেকে সমস্ত কাজের জন্য সহযোগীতা করেছেন তিনি হচ্ছেন, অস্ট্রেলিয়ান মিশনারি ডাঃ সি. এস. মীড্‌ (ডাঃ সিসিল সিলাস মীড্‌)যিনি খৃষ্ট ধর্মের প্রচারের  জন্য এবং দীন দরিদ্রদের সেবা করার জন্য ঘুরতে ঘুরতে বঙ্গদেশে আসেন। আর ১৯০৬ সালে প্রথমে ফরিদপুরে  (জেলা) আসেনতারপর ঘটনা ক্রমে তিনি তাঁর উদ্দেশ্য নিয়ে ওড়াকান্দীতে গুরুচাঁদ ঠাকুরের কাছে আসেন এবং তাঁর উদ্দেশ্যের কথা ঠাকুরের কাছে ব্যক্ত করেন। তিনি ছিলেন একাধারে ডাক্তার অন্যধারে খৃষ্টান ধর্ম প্রচারক। তিনি গুরুচাঁদ ঠাকুরের কাছে আসেন খৃষ্ট ধর্মের প্রচার ও জনসেবা করার জন্য। সঙ্গে খৃষ্ট ধর্মে দীক্ষিত করার জন্য। তাই তিনি এই কাজের জন্য গুরুচাঁদ ঠাকুরের সহযোগীতার আহ্বান জানান। গুরুচাঁদ ঠাকুর মীড্‌ সাহেবের সব কথা জানার পর তাঁকে বলেন,

“অশিক্ষা- আঁধারে         আছে যেবা পড়ে

          তারে ধর্ম দে’য়া মিছে।।

মোর জাতি তায়         যদি শিক্ষা পায়

         কেবা জানে ভবিষ্যত।

শিক্ষিত হইলে           তাহারা সকলে

         নি’তে পারে তব মত।।

আদি প্রয়োজন          বলে মোর মন

        শিক্ষাহীনে শিক্ষাদান।

তারা শিক্ষা পেলে      মনপ্রাণ ঢেলে

       রাখিবে তোমার মান।।”    -গুরুচাঁদ চরিত- পৃঃ ১৬১     

“যারা অশিক্ষার অন্ধকারে ডুবে আছে; তাদের যে কোন ধর্মের কথাই বোঝানো হোকনা কেন সেটা অপাত্রে ঘি ঢালার মতো। কারণ আমার জাতির লোকেরা লেখাপড়া জানেনা। আজ আপনি ধর্মের কথা বোঝাচ্ছেন, আপনার কথা শুনে তারা রাজি হয়ে যেতে পারে; আবার কাল যদি অন্য কোন ধর্মাবলম্বী এসে তার ধর্মের কথা বোঝায় ও প্রলোভন দেয় তাহলে তার কথায়ও রাজি হয়ে যেতে পারে। কিন্তু আপনি যদি প্রথমে এদের শিক্ষিত করেন, তাহলে কোনটা সঠিক আর কোনটা ঠিক নয় সেটা বিচার বিশ্লেষণ করার বুদ্ধির উদ্ভব হবে। তাই আমি বলি, প্রথমে আপনি এই শিক্ষাহীনদেরকে শিক্ষাদান করুন। তারপর হয়ত দেখবেন এরা আপনার কথা মেনে নিতে পারবে এবং এরা শিক্ষিত হয়ে আপনার মান সম্মানও নিশ্চয় যাতে অক্ষুন্ন থাকে সেটাও করবে। তাই আপনি এই পতিত সমাজের জন্য উচ্চবিদ্যালয় স্থাপন করুন।”

    এসব কথা শোনার পর মীড সাহেব গুরুচাঁদ ঠাকুরের কথায় রাজি হয়ে যান। তারপর মীড্‌ সাহেবের সমস্ত শর্ত সম্পর্কে গুরুচাঁদ ঠাকুর অনেকগুলো গ্রামের বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিকে ডেকে একটা সভা করেন। সভায় সপক্ষে বিপক্ষে অনেক তর্ক বিতর্ক হয়। অবশেষে সভাসদগণকে গুরুচাঁদ ঠাকুর বোঝাতে সক্ষম হন যে, জাতিকে জাগানোর জন্য মীড্‌ সাহেবের সাহায্য গ্রহণ করা একান্ত কর্তব্য। তখন সভাসদগণ গুরুচাঁদের যুক্তিপূর্ণ বক্তব্য শুনে মীড্‌ সাহেবেকে নমঃদের জন্য স্কুল করার জন্য সম্মতি দেন।

     এরপর মীড্‌ সাহেব কিছুদিন পর আবার গুরুচাঁদ ঠাকুরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন। মীড্‌ সাহেব স্কুল করার জন্য দশ বিঘা জামির আবেদন জানান। গুরুচাঁদ ঠাকুর সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে নিজের দশ বিঘা জমি দিতে রাজি হন। আর জানান আরো যদি জমির প্রয়োজন হয় তাহলেও তিনি জাতির উদ্ধারের জন্য অশিক্ষার অন্ধকার থেকে জ্ঞানের আলোর পথ দেখানোর জন্য দেবেন। আর এই স্কুলের জন্য

নিজ ভক্ত হ’তে প্রভু অর্থ চাহি লয়।

বারশত টাকা প্রভু এই ভাবে দেয়।। -গুরুচাঁদ চরিত পৃষ্ঠা নং ২২৯

ভক্তরা সকলে মিলে ১২০০ টাকা সংগ্রহ করে ঠাকুরকে দেন।

 ১৯০৮ সালে ওড়াকান্দীতে ঠাকুর বাড়িতে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত স্কুল স্থাপন করা হয়েছিল যেটাকে মিড্‌ল ইংরাজী স্কুল (M.E.) বলা হ’ত, সেই স্কুলটি সি.এস. মীডের সহায়তায় উচ্চ ইংরাজী স্কুলে (H.E.) উন্নিত করা হয়। আর তখন ডাঃ মীডের নামানুসারে এই স্কুলের নাম করণ হল ‘মীড্‌ হাইস্কুল’তবে তখনও এই স্কুলটি গ্রামবাসিদের চাঁদার উপর নির্ভর করেই চলত। এই স্কুলের জন্য সরকারী সাহায্য পাওয়ার জন্য মীড্‌ ডিরেক্টরের কাছে আবেদন জানান। স্কুল সংক্রান্ত কমিশন মিডের সুপারিশে জন্য প্রতি মাসে ৭৫ টাকা করে সরকারী অনুদান দিতে স্বীকৃত হয়।  এটাই বাংলায় অনুন্নত শ্রেণীর প্রথম উচ্চবিদ্যালয়।    

    ১৯১০ সালে তৎকালীন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার স্যামুয়েল ন্যাথান ওড়াকান্দী পরিদর্শনে  আসেন গুরুচাঁদ ঠাকুর তাঁর কাছে শিক্ষা, ছাত্রাবাস ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য দাবী জানান।

      গুরুচাঁদ  ঠাকুরের শিক্ষা আন্দোলনে অনুপ্রানিত হয়ে নমঃশূদ্র নেতৃবর্গ যশোহরের  মশিয়াহাটি এবং ৯৬ গ্রামে মধ্য ইংরাজী স্কুল স্থাপন করেন। পরে সেটা উচ্চ ইংরাজী স্কুলে উন্নীত হয়। আরও পরে এই দু’স্থানে কলেজও প্রতিষ্ঠিত হয়। ভাবতেও অবাক লাগে সেকালের নিরক্ষর নমঃরা এবং পিছিয়ে রাখা জাতির নেতৃবর্গ যেভাবে সমাজকে উন্নত করার জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, শিক্ষিত হওয়ার পর তাদের বংশধরদের মধ্যে আজ আর সেরকম মানসিকতার নেতৃবর্গ সেভাবে নিঃস্বার্থে সামাজিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এগিয়ে  আসছেন না কেন? এর জন্য গভীরভাবে ভাবা দরকার বলে মনে হয়।

    গুরুচাঁদ ঠাকুর শিক্ষাদান করেই কিন্তু ক্ষান্ত হননি। শিক্ষা গ্রহণের পরবর্তি পদক্ষেপ হচ্ছে চাকরী করা বা শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক সাবলম্বী হওয়া গুরুচাঁদ পুত্র শশিভূষণ, রাধানাথ, ভীষ্মদেব, মোহন, কুমুদ মল্লিক এরাঁ উচ্চ শিক্ষা লাভ করার পরও কোন চাকরী পাচ্ছিলেন না। তখন ১৯০৭ সাল। এই কাজের জন্যও গুরুচাঁদ ঠাকুর ডাঃ মীড্‌ সাহেবের স্মরনাপন্ন হন। 

প্রভু বলে ‘দেখ মীড কি করি তা’ বল।

এই সব ছেলে যদি চাকুরী না পায়।

লেখা পড়া কেহ নাহি করিবে হেথায়।।

এদের ব্যবস্থা তুমি কর মহাশয়।

এরা ধন্য হোক সবে তোমার কৃপায়।। -গুরুচাঁদ চরিত পৃষ্ঠা নং ২২৯

গুরুচাঁদ ঠাকুর বললেন, “মীড্‌ সাহেব দেখুন, এই সব ছেলেরা যদি উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের পরেও চাকরী না পায় তাহলে আমাদের সমাজের ছেলে-মেয়েরা উচ্চ শিক্ষার প্রতি উৎসাহ হারিয়ে ফেলতে পারে। তাই তুমি এদের জন্য এমন কিছু  ব্যবস্থা কর, যাতে তোমার কৃপায় এরা জীবনে ধন্য হতে পারে।”

     গুরুচাঁদ ঠাকুরের কাছ থেকে সব কথা শুনে মীড্‌ বলেন,

মীড বলে “বড়কর্তা! শুন দিয়া মন।

কি জন্য তোমার জাতি পতিত এমন।।

এই দেশে উচ্চ বর্ণ হিন্দু যত আছে।

শুন সবে কিবা বলে রাজশক্তি কাছে।।

তোমার জাতির কথা বলে ঘৃণা ভরে।

সেই লাগি রাজ শক্তি চেনেনা তোমারে।।

এই জন্য কর এবে পত্রিকা প্রচার।

তা’হলে তোমার জাতি পাবে উপকার।। -গুরুচাঁদ চরিত পৃষ্ঠা নং ২০৫

অর্থাৎ “বড়কর্তা, তোমার জাতি যে পতিত রয়েছে, তার কারণ হচ্ছে, উচ্চবর্ণীয়রা সরকারের কাছে এমনভাবে তোমাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা সূচক মিথ্যা কথা বলে অভিযোগ জানিয়ে রেখেছে যে, সরকার  তোমাদেরকে চেনেই না। তাই আমি প্রস্তাব করি কি তোমরা একটা পত্রিকা প্রকাশ কর। সেই পত্রিকায় তোমাদের সম্বন্ধে সব কথা লেখতাহলে সরকার তথা সকলে তোমাদের আসল পরিচয় জানতে পারবে। আর সবাই মিলে লাট সাহেবের কাছে চলো, আমি সব কিছু সাহেবকে তোমাদের কথা বুঝিয়ে বলব।”  

মীড্‌ সাহেবের পরামর্শ মত গুরুচাঁদ ঠাকুরের নির্দেশে ঐ বছরই অর্থাৎ ১৯০৭ সালে “নমঃশূদ্র সুহৃদ” নামে পত্রিকা প্রকাশ শুরু হয়।

   এরপর মীড্‌ সাহেবের কথামত উপযুক্ত সময়ে সকল নমঃশূদ্র শিক্ষিত যুবাগণ গুরুচাঁদ ঠাকুরকে সঙ্গে নিয়ে ফরিদপুরে লাট সাহেবের দরবারে যান। সেখানে গুরুচাঁদ ঠাকুর রাজকীয় পোশাক পরে যান। যে পোশাকের তৎকালীন মূল্য ছিল ৫০০ টাকা গুরুচাঁদের পোষাক দেখে  মীড্‌ সাহেবও বিস্মিত হয়ে যান। গুরুচাঁদ ঠাকুরের সম্পর্কে ম্যাজিষ্ট্রেট মীড্‌ সাহেবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন যে, “এই ভদ্রলোক হচ্ছেন নমঃশূদ্র জাতির একজন মান্য-গণ্য ব্যক্তি।” তখন ম্যাজিষ্ট্রেট জানান যে, তিনি তো নমঃশূদ্র বলে কোন জাতির কথা জানেন না। তবে ‘চন্ডাল’ জাতি বলে একটা জাতির কথা জানেন। তখন মীড্‌ সাহেব ম্যাজিষ্ট্রেটকে সব কথা বুঝিয়ে বলেন। 

মীড বলে “রাজ-ভক্ত এই মহাশয়।

রাজার বিরুদ্ধে কভু কথা নাহি কয়।।

স্বদেশী আন্দোলনে বড়ই বিরোধী।

রাজার  মঙ্গল-চিন্তা  করে নিরবধি।। গুরুচাঁদ চরিত পৃঃ ২১৩

 আর অনুরোধ করেন লাট সাহেবের কাছে গুরুচাঁদ ঠাকুর সম্পর্কে জানাতে যে, কারণ তিনি একজন রাজভক্ত। তিনি রাজার বিরুদ্ধে কখনও কোন বিরুদ্ধতা করেননি। এমনকি স্বদেশী আন্দোলনেও তিনি অংশ গ্রহণ করেননি তিনি তাঁর এলাকার একজন বিশিষ্ট গুণীজন। তাঁর পুত্র কন্যারা সকলে বিদ্বান। তাঁর বড় পুত্র শশি ভূষণ চাকরীর জন্য আবেদন করেছেন। এঁরা ভীষণ সভ্য, শিষ্ট, শান্ত ও সকলের ব্যবহার ভদ্রচিত। আর আপনার অধীনে যত কর্মচারী আছে, তারা আপনাদেরকে এঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলে এঁদের সম্পর্কে সত্য কথাকে লুকিয়ে রেখেছে। আমি তো এঁদের মধ্যে সব সময় ঘোরাঘুরি করি, তাই আমি এঁদের খুব ভাল করে জানি। এই নমঃশূদ্র জাতির পরিচয় রাজার কাছে না থাকার জন্য এই জাতি শিক্ষিত হয়ে এখনও পতিত হয়ে রয়েছে।” -এইভাবে বিভিন্ন কথা বলে মীড্‌ সাহেব ম্যাজিষ্ট্রেটকে বোঝান। তখন ম্যাজিষ্ট্রেট মীড্‌ সাহেব যা যা বলেছেন, সব নোট করে রাখেন লাট সাহেবকে জানানোর জন্য।

   এরপর লাট সাহেব দরবারে এলে সময় মতো লাট সাহেবের উদ্দেশ্যে শশীবাবু মানপত্র পড়ে শোনান। মানপত্র পাঠ শুনে লাট  সাহেব জানান, “সুখী আমি অতিশয়।” অর্থাৎ তিনি অত্যন্ত খুশি হয়েছেন। এরপর মীড্‌ সাহেব লাট সাহেবের কামরায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে নমঃশূদ্রের গুণের সব  কথা জানানআর শেষে নমঃশূদ্র শিক্ষিতরা যাতে চাকরীর পায় সে সবও জানান।  

উপরের ঘটনাটা এত বিস্তারিত এই জন্যই লিখছি কারণ সেই সময়ে সরকারের কাছে  ‘নমঃশূদ্র’ বলে কোন পরিচয়ই ছিল না। পরিচয় চিল ‘চন্ডাল’ বলে। যেটা উচ্চবর্ণীয়রা গালি স্বরূপ ব্যবহার করত। আর সরকারের কাছে এঁদের সম্পর্কে মিথ্যা অভিযোগ করত।  গুরুচাঁদ ঠাকুরের শিক্ষা আন্দোলনের ফলে যখন উচ্চ শিক্ষার বন্যা বইতে শুরু করে, তখন   সমস্যা দেখা দেয় চাকরীর। আর সেই চাকরী গ্রহণের পূর্বে এত সব প্রক্রিয়া করার প্রয়োজন দেখা দেয়। আর সেই প্রয়োজন মেটানোর গুরুদায়িত্ব যেমন গুরুচাঁদ ঠাকুরের উপর বর্তায় তেমনি মীড্‌ সাহেবের উপরও সেই গুরুদায়িত্বের বোঝা সপে দেওয়া হয়। কারণ সেই কাজ মীড্‌ সাহেব বিনা কিছুতেই সম্ভব হওয়ার ছিলনা। আর এত সব প্রক্রিয়া যে সহজে সম্পন্ন হয়নি সেটা বোঝানোর জন্য এই বিস্তারিত লেখার প্রয়োজন। ভারতের সংবিধানের মাধ্যমে তফশীল জাতির মানুষ শিক্ষা ও সরকারী চাকুরীতে সংরক্ষনের সুবিধা পেয়েছে, যে সুবিধা সে সময়ে ছিল না তবে এই সংরক্ষনের সুবিধা দেওয়ার জন্য বাবাসাহেবকে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়েছে ।   

     যাইহোক, মীড্‌ সাহেবের প্রচেষ্টা ও লাট সাহেবের কৃপায় শশীভূষণ ঠাকুর ১৯০৭ সালে  সাব্‌রেজিষ্টারের চাকরী পান। কুমুদ বিহারী মল্লিকও ডেপুটী পদে চাকরী পান। এরপর মোহন, তারিণী আর শ্রীরাধা চরণ তাদের ইচ্ছানুসারে চাকরী পান। এইভাবে গুরুচাঁদের শিক্ষা আন্দোলন মীড্‌ সাহেবের সহায়তায় সব দিক দিয়ে পূর্ণতা প্রাপ্ত হয়।  

 


 

Comments