Skip to main content

ধর্মের প্রয়োজনীয়তায় বাবাসাহেব ও গুরুচাঁদ ঠাকুর

 


ধর্মের
প্রয়োজনীয়তায় বাবাসাহেব ও গুরুচাঁদ ঠাকুর  

     ধর্ম, সামাকিজ মর্যাদা এবং সম্পদ এই তিনটি জিনিস ক্ষমতা এবং কর্তৃত্বের উৎস হিসাবে কাজ করে। এই তিনটির যে কোনো একটি দ্বারা একজন মানুষ আর একজন মানুষের স্বাধীনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। একটা অবস্থায় একটা উপাদান প্রভাব বিস্তার করে, অন্য অবস্থায় অন্য একটা উপাদান প্রভাব বিস্তার করে এটাই শুধু পার্থক্য।

    যতক্ষণ আপনারা সামাজিক ব্যবস্থার পরিবর্তন না করবেন, ততক্ষণ তেমন কোন উন্নতি করতে পারবেন না।

     যে দুর্ভেদ্য প্রাচীর দ্বারা জাতব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে এবং যে সব উপাদানের সাহায্য এই প্রাচীর গড়া হয়েছে, তার মধ্যে যুক্তি-নীতি নামক কোনো দাহ্য উপাদান নেই। উপরন্তু এই প্রাচীরের অভ্যন্তরে ব্রাহ্মণ সৈন্যবাহিনী পাহারা দিচ্ছে। সেই ব্রাহ্মণরাই বুদ্ধিজীবী শ্রেণি এবং হিন্দুদের প্রকৃত নেতা। জাত ব্যবস্থার প্রাচীর পাহারা দেওয়ার জন্য ব্রাহ্মণ সৈন্যবাহিনী ভাড়াটে সৈন্যদের মতো পাহারা দেবে না। তারা মাতৃভূমি রক্ষার জন্য প্রাণপন যুদ্ধ করবে।

     আমি নিয়মসর্বস্ব ধর্মকে সমালোচনা করছি বলে এটা যেন কেউ মনে না করেন যে, আমি ধর্মের প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকার করছি। অপর পক্ষে আমি বার্ক (Burke) এই কথার সঙ্গে একমত যে, “প্রকৃত ধর্ম হচ্ছে সমাজ জীবনের ভিত্তি এবং এই ভিত্তির উপরই গড়ে ওঠে দেশের ন্যায়পরয়ান সরকার।) True religion is the foundation of society, the basic on which all true civil Government rests, and both their sanction) সুতরাং যখন আমি দাবি করি যে, হিন্দু সমাজের প্রাচীন নিয়মগুলি বিলোপ করা দরকার, তখনই আমি মনে করি সঙ্গে সঙ্গে সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে এমন একটি ধর্মের প্রয়োজন, যেটা প্রতিষ্ঠিত হবে নীতির উপর ভিত্তি করে। ধর্মের প্রয়োজনীয়তা আমি একান্তভাবে অনুভব করি। (No.24)

 


     হরি-গুরুচাঁদ ধর্মহীন পতীতদের নতুন ধর্ম দিয়ে ছিলেন সংঘবদ্ধ হওয়ার জন্য সেটা আন্দোলনের জন্য একটা সোপান বা হাতিয়ার মাত্র তাঁরা ধর্ম বিশ্বাসের উপর দাঁড়াননি মানুষকে জাগ্রত করার জন্য, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সাথে সাথে সামাজিক শিক্ষা দিয়ে মূল্যবোধ জাগানোর জন্য, সামাজিক বৈষম্য দূর করার জন্য তাঁরা ধর্মকে এক ধরনের ভাষা বা প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন তাই বলে ছিলেন,    

                          ধর্ম্ম শক্তি বিনা জাতি জাগেনা কখন।। গুরুচাঁদ চতির পৃঃ ৫২৯

     কিন্তু অতি দুঃখের বিষয় হচ্ছে বেশিরভাগ মতুয়া ধর্ম-দর্শনের অনুরাগীরা ধর্মটাকে বৈদিক ঘরানায় আকড়ে ধরে আছে তার থেকে এরা বাইরে আসারও চেষ্টা করছে না যারফলে যাকিছু দেখা যাচ্ছে সেটা শুধু বাহ্যিকতা অন্তর্নিহিত ভাবনার প্রকাশ বা প্রসার যৎ সামান্য

 

Comments