

গুরুচাঁদ দর্শনে মহাপ্রাণ যোগেন্দ্রনাথ
লেখক-
প্রদীপ কুমার বিশ্বাস
    গুরুচাঁদ ঠাকুর মতুয়া দর্শনের অন্যতম পথিকৃত।
মতুয়া দর্শনে (ধর্মে) অনুগত বা বিশ্বাসী মানুষরা মহাপ্রাণ যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডলের
বিপক্ষে সবথেকে বেশি সমালোচনা বা বিরূপ মন্তব্য করেন। কিন্তু তাঁরা জানেন না
মহাপ্রাণ যোগেন্দ্রনাথ ছিলেন গুরুচাঁদ ঠাকুরের শিক্ষা আন্দোলন ও রাজনৈতিক দর্শনের
অন্যতম রূপকার। এবিষয়ে অজানা অপ্রকাশিত অথচ সম্পূর্ণভাবে সত্য তুলে না ধরলে মতুয়া
মহলে মহাপ্রাণ যোগেন্দ্রনাথ সম্পর্কে ভালো ধারণা বা সম্মান আসবে না।
    ওড়াকান্দী থেকে ফেরার পরই ভেগাই হালদার
আগৈলঝাড়া বাজারে বট গাছের নীচে পাঠশালা স্থাপন করেন। পরবর্তীকালে ঐ বিদ্যালয়কে
স্থায়ীভাবে জমিদান করেন চার ভাই- রামচরণ,
দুর্গাচরণ, অভয়চরণ
ও গঙ্গাচরণ বাড়ই।
    ১৮৮১ সালে খুলনার দত্তডাঙ্গায় ঈশ্বর গাইনের
বাড়ির ঐতিহাসিক সমাবেশের মন্ত্রকে কার্যকরী করতে ১৯২৬ সালে মতুয়া ভেগাই হালদারের
আহ্বানে আগৈলঝাড়া রায়ত কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। ঐ অনুষ্ঠানে সার্বিক সাফল্যের পিছনে
ছিলেন ২২ বছর বয়সী ছাত্র নেতা যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল। ঐ সভায় তৎকালীন হিন্দুমহাসভার
নেতা পদ্মরাজ জৈন এবং কংগ্রেস নেতা সরোজিনী নাইডু অংশগ্রহণ করতে এলে গৌরনদী গিয়ে
যোগেন্দ্রনাথ মন্ডল এবং ভেগাই হালদার পদ্মরাজ জৈন ও সরোজিনী নাইডুকে কনফারেন্সে
আসতে আপত্তি করেন। কারণ এঁদের উদ্দেশ ছিল ভিন্ন, একথা মতুয়া ভেগাই হালদার ও যোগেন্দ্রনাথ বুঝেছিলেন। শেষ
পর্যন্ত তাঁরা ফিরে যেতে বাধ্য হন। আনন্দ বাজার, অমৃত বাজার পত্রিকায় কনফারেন্সের বিষয় প্রকাশিত হয়। (তথ্য-ঐ পৃ. ৫১)
“যোগেন্দ্রনাথ সেই সভায় সর্বপ্রথম যে সুচিন্তিত ও সারগর্ভ ভাষণ দিয়েছিলেন
তাহাতে শ্রোতৃবর্গ বিশেষভাবে আনন্দিত ও বিস্মিত হন” (তথ্য- মহাপ্রাণ যোগেন্দ্রনাথ ১ম খণ্ড
পৃ.১১)
     ১৯২৬ সালের ঐ সভা প্রমানিত
করে গুরুচাঁদের দর্শনেই যোগেন্দ্রনাথ তাঁর আগামী কর্ম পদ্ধতি ঠিক করে নিয়েছিলেন।
যিনি যোগসূত্রের মহান দায়িত্ব পালন করে ছিলেন তিনি মতুয়া ভেগাই হালদার। ছাত্র
অবস্থা থেকেই গুরুচাঁদ দর্শন তিনি প্রতিটি পদক্ষেপে অনুসরণ করেছেন।
     গুরুচাঁদ ঠাকুর মতুয়া রত্ন
গোপাল সাধুর আর্থিক সহযোগিতায় পি. আর. ঠাকুরকে বিলেতে আইন পড়তে পাঠান। সেখানে
গুরুচাঁদ দর্শনের ধারক-বাহক যোগেন্দ্রনাথ আইন পড়তে কলকাতায় আসেন ১৯৩০ সালে মহানুভব
প্যারীমোহন দাস তাঁর তিন পুত্রের পৃহশিক্ষকতার বিনিময়ে বাসস্থান ও আহারের দায়িত্ব
নেন। তাঁর একান্ত সহযোগিতায় যোগেন্দ্রনাথ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন কলেজে ভর্তি
হন। তিনি পড়াশুনার ব্যয় ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় অর্থের জন্য ছাপাখানায় প্রুফ
সংশোধনের কাজ করতেন। অতিরিক্ত ছাত্রও পড়াতেন। কঠোর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে ১৯৩৪ সালে
তিনি আইন পাশ করেন। (তথ্য-মহাপ্রাণ যোগেন্দ্রনাথ ১ম খণ্ড, পৃ. ১৮-
২০)
    “দেশের
শাসন তান্ত্রকি ব্যাপারে সক্রিয় অংশগ্রহণ করিতে না পারিলে কোন জনকল্যাণকর কার্যই
সম্পন্ন করা যায় না। শুধু বক্তৃতাদান এবং সরকারের সমালোচনা করা বা কিছু চাঁদা
সংগ্রহ করিয়া দেশের বা দশের উন্নতি সাধন সম্ভব নহে।” (তথ্য ঐ গ্রন্থ পৃ.২২) এই
মনোভাবে যোগেন্দ্রনাথ ১৯৩৬ সালে ২৫ জুলাই বরিশাল সদর আদালতে আইনজিবী হিসাবে যোগদান
করেন। ১৯৩৩ সালের প্রথম দিকে আগৈলঝাড়া উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয়ের অনুমোদন বাতিলের খবর
নিজে মতুয়া ভেগাই হালদার যোগেন্দ্রনাথের সমিপে উপস্থিত হয়ে সন্থানহারা পিতার ন্যায়
কাঁদতে লাগলেন। যোগেন্দ্রনাথকে মতুয়া ভেগাই হালদার বিদ্যালয়ের দায়িত্বভার গ্রহণ
করতে বলেন। যোগেন্দ্রনাথ তা গ্রহণ করলেন। ভেগাই হালদারকে তিনি কথা দিলে গুরুচাঁদের
দর্শনে তাঁর স্বপ্নকে তিনি বাস্তবায়িত করবেন। কিন্তু এর কিছুদিন পরে ১৯৩৩ সালে ৫
জুলাই ভেগাই হালদারের প্রয়াণ হয়। তাঁর প্রয়াণের সময় যোগেন্দ্রনাথ কলকাতায় ছিলেন।
পরে যখন জানতে পারলেন, তিনি পিতৃহারা সন্তানের
ন্যায় কেঁদে ছিলেন।
     ১৯৩৬ সালে যোগেন্দ্রনাথ
যখন বরিশাল সদর আইন জীবীর কাজ শুরু করেন তখন যোগাযোগ হল ভীষ্মদেব দাসের সঙ্গে।
ভীষ্মদেব দাস বাংলার নমঃশূদ্রদের মধ্যে ছিলেন প্রথম উকিল(আইনজীবী) আর এই ভীষ্মদেব
দাস ছিলেন গুরুচাঁদ ঠাকুরের বিশ্বস্ত দর্শন অনুরাগী।
যোগেন্দ্রনাথ – “দুস্থ
দরিদ্র লোকেরা যাহাতে মামলা মোকদ্দমার কবলে পড়িয়া সর্বশান্ত না হয় তিনি তৎপ্রতি
বিশেষ দৃষ্টিপাত করিতে লাগিলেন। দরিদ্র কৃষক ও শিল্পীকুলের মোকদ্দমা স্বেচ্ছায়
গ্রহণ করিয়া, বিনা পারিশ্রমিকে তিনি
তাহার সুরাহা করিয়া দিতে লাগিলেন। (তথ্য ঐ পৃ. ২৩)
    ভীষ্মদেবের মাধ্যমে যোগেন্দ্রনাথের কথা শুনে
গুরুচাঁদ ঠাকুর অতিশয় সন্তুষ্ট হয়েছিলেন। একাধারে পি. আর. ঠাকুরের কার্যাবলী, জীবনযাত্রা বিষয়টাও তিনি স্মরণ করেছিলেন কি? অবশ্য সে সময়ে গুরুচাঁদ ঠাকুর বয়স জনিত কারণে সার্বিকভাবে
ক্ষমতাহীন, দুর্বল।
১৯৩৭ সালে প্রথম সাধারণ
নির্বাচনে যোগেন্দ্রনাথ বাখরগঞ্জ উত্তর পূর্ব অসংরক্ষিত আসন থেকে জয়লাভ করেন।
ফরিদপুর থেকে পি. আর. ঠাকুরও জয়লাভ করেছিলেন।
     ১৯৩৭ সালে এম.এল.এ. হয়ে যোগেন্দ্রনাথের
প্রথম কাজ হল আগৈলঝাড়া বিদ্যালয়কে ইংরেজি বিদ্যালয়ে উন্নীত করা। কেননা মতুয়া ভেগাই
হালদারের স্বপ্নকে স্বার্থক করে তুলতে হবে। দিকে দিকে গুরুচাঁদের শিক্ষা আন্দোলনকে
এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। যোগেন্দ্রনাথের চেষ্টায় ভেগাই হালদারের স্মরণ সভার আয়োজন করা
হয়। সভাপতিত্ব করেন হাসেম আলি খাঁন। যোগেন্দ্রনাথ সেদিন যে বক্তব্য দান করেন সেটা
তুলনাহীন। সভার প্রায় সকল লোক সেদিন যোগেন্দ্রনাথের বক্তৃতায় কেঁদে ছিলেন। যার
পকেটে যা ছিল আগৈলঝাড়া বিদ্যালয়ের নামে তা দান করেছিলেন। যাঁরা অর্থ দানের
প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সবাই তা পালন করেছিলেন। যোগেন্দ্রনাথ নিজে পিতার নামে ১৫০
টাকা ও শ্বশুর মহাশয়ের নামে ১০০ টাকা দান করেন। শুধু তাই নয়, ঐ সভায় আগৈলঝাড়া বিদ্যালয়ের নাম করণ করা হয় আগৈলঝাড়া ভেগাই
হালদার পাব্লিক একাডেমি। বর্তমানে বাংলাদেশে বিদ্যালয়টি প্রথম শ্রেণির হাইস্কুল
হিসাবে গণ্য হয়েছে। আর ঐ বিদ্যালয়ের সীমার মধ্যে একটি কলেজও প্রতিষ্ঠিত আছে। যার
নেপথ্য নায়ক যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল।
( তথ্য: মহাপ্রাণ যোগেন্দ্রনাথ, ১ম
খণ্ড, পৃ. ৩৩-৩৫)
     ১৯৩৭-৩৮ সালে সরকারী সাহায্য ব্যতিরেকে
নমঃশূদ্র, কৈবর্ত্য, মুসলিম প্রাধান্য এরিয়ায়
বিদ্যালয় চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। গুরুচাঁদের শিক্ষা আন্দোলনকে বাস্তবে রূপদান করতে
মতুয়া ভেগাই হালদারের মানসপুত্র যোগেন্দ্রনাথ বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী(
মুখ্যমন্ত্রী) এবং শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বে ভারপ্রাপ্ত ফজলুল হক, অর্থমন্ত্রী
নলিনী রঞ্জন সরকারের নিকট আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন জানান। যোগেন্দ্রনাথের
আবেদন সরকার মেনে নেন। বাংলার তপশিলিদের শিক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিকারিক রাজ
কুমার দাস যোগেন্দ্রনাথের নিকট বিদ্যালয়ের তালিকা চান। প্রথম কিস্তিতে
যোগেন্দ্রনাথ তপশিলি অধ্যুষিত ২৪ টি বিদ্যালয়ের তালিকা দেন। তার মধ্যে প্রথম নামটি
হল ভেগাই হালদার পাব্লিক একাডেমি। ঐ ২৪ টি বিদ্যালয় সরকারী অনুদান পেয়েছিল।
     যোগেন্দ্রনাথ বুঝেছিলেন যে দরিদ্র কৃষকদের
শিক্ষিত করতে না পারলে তাদেরকে অত্যাচার- শোষণের হাত থেকে রক্ষা করা যাবে না।
বিশেষ করে বাংলার নমঃশূদ্র, জেলে, মাহিষ্য
( কৈবর্ত্য) সমাজকে। তাই তিনি ১৯৩৯ সালেই বিধান সভায় প্রথম দাবী তোলেন প্রাথমিক শিক্ষাকে
আবশ্যিক ও অবৈতনিক করতে হবে। (তথ্য ঐ পৃ.৩৯) যোগেন্দ্রনাথের বিধান সভায় দাঁড়িয়ে
অকুতোভয়, আপসহীন সংগ্রাম ও যুক্তির জন্য এবং জয় লাভের জন্য তাঁকে
“বাংলার মেগাস্থিনিস” বলে আখ্যা দেওয়া হয়। ( তথ্য ঐ পৃ. ৪৫)
১৯৩৮ সালের ১৩ মার্চ, গুরুচাঁদ
ঠাকুরের স্মরণ সভা হয় কলকাতার এলবার্ট হলে। সভাপতিত্ব করেন জে. সি.গুপ্ত এবং
প্রধান অতিথি ছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। কিন্তু যেটা মতুয়ারা জানেন না, সেটা
হল ঐ সভার আয়োজক ছিলেন মহাপ্রাণ যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল। যোগেন্দ্রনাথের নেপথ্য ভূমিকা
সেদিন কোনো খবরের কাগজে ছাপা হয়নি এবং তাঁর নাম প্রকাশিত হয়নি। পিছনে সমগ্র
নমঃশূদ্র সমাজ বা মতুয়া সমাজের একছত্র নেতা না হয়ে উঠতে পারেন তার জন্য ছিল
ব্রাহ্মণ্যবাদী চক্রান্ত। বিভিন্ন মাধ্যমে পি. আর. ঠাকুরকে ঐ সভায় যাওয়ার জন্য জোর
প্রচেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি শেষ পর্যন্ত কি করেছিলেন সে বিষয়ে সঠিক তথ্য জানা
যায় না। এই তথ্য আমি জেনেছি উত্তর ২৪ পরগণা জেলার কুমড়ি কাশীপুর গ্রামের শৈলেন
বিশ্বাসের কাছ থেকে ১৯৮৭ সালে। তিনি রাইটার্স বিল্ডিং-এ কর্মরত ছিলেন। আমার বাবার
কাছে তিনি ১৯৮৭ থেকে ১৯৯০ সাল আবদি তিনি প্রায়ই আসতেন। দেশভাগের যন্ত্রনা, মহাপ্রাণের
ভূমিকা নিয়ে বাবার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে স্মৃতিচারণা করতেন। সেই সময়ে আমি পাশ বসে
একথা শুনেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় ১৯৮৭-৯০ সালে ছাত্র অবস্থায় যোগেন্দ্রনাথ
সম্পর্কে অনেক অজানা সত্য জানার মতো বুদ্ধি আমার ছিল না। আজ নিজেকে বড়ো অপরাধী মনে
হয়। কেন শৈলেন বাবুর থেকে যোগেন্দ্রনাথ সম্পর্কে বিশদ সত্য জেনে নিইনি। ১৯৩৮ এর
গুরুচাঁদের স্মরণ সভায় নেতাজী সুভাষ বসুকে দিয়ে যোগেন্দ্রনাথ গুরুচাঁদ ঠাকুরকে
“মহামানব” বলে উপাধি প্রদান করেন। দুঃখের বিষয় মতুয়া সমাজ তা জানেন না। তারা না
জেনে যোগেন্দ্রনাথের বিরূপ সমালোচনা করেন।
     ১৯৪৫ সালে ২৪ ও ২৫ এপ্রিল
ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জে তফশিলি জাতি ফেডারেশনের বঙ্গীয় প্রথম প্রাদেশিক
মহাসম্মেলন হয়। ঐ সম্মেলনে বাবাসাহেব প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল।
কিন্তু বর্ণবাদীদের ষড়যন্ত্রে বাবাসাহেব ঐ সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে পারেননি। গোপাল
গঞ্জের ঐ মহাসম্মেলনে পি. আর. ঠাকুর যাননি। কারণ তখন তিনি কংগ্রেসের চক্রান্তের
শিকার হয়ে পড়েছেন। গোপাল গঞ্জের ঐ সভার আহ্বায়ক ছিলেন গুরুচাঁদ ঠাকুরের বিশ্বস্ত
ডান হস্ত মতুয়া ভীষ্মদেব দাস। যিনি আজীবন গুরুচাঁদ ঠাকুরের পরামর্শ মতো কাজ
করেছেন।(তথ্য ঐ পৃ. ১৭৪)
গোপালগঞ্জের ঐ মহাসম্মেলনে
মতুয়া ভীষ্মদেব ও গুরুচাঁদ অনুরাগী যোগেন্দ্রনাথ মতুয়া তথা নমঃশূদ্রদের উপর বেশি
নির্ভরশীল ছিলেন।
আমার
এই লেখা বা তথ্যের থেকে প্রমানিত মহাপ্রাণ যোগেন্দ্রনাথ ছিলেন প্রকৃত অর্থে
গুরুচাঁদ দর্শনের রূপকার। যাকে সর্বোতভাবে পরামর্শ ও সহযোগিতা করেছেন গুরুচাঁদ
ঠাকুরের বিশ্বস্ত ডান হস্ত ভীষ্মদেব দাস ও বিখ্যাত গুরুচাঁদ ভক্ত ভেগাই হালদার।
মতুয়া তথা নমঃশূদ্র ব্রাহ্মণ্যবাদ বৈদিকবাদ তোষণকারী মতুয়াদের কাছে প্রশ্ন আপনাদের
মুখে মহাপ্রাণ যোগেন্দ্রনাথের সমালোচনা মানায় কি?
--------------
* https://www.facebook.com/pages/category/Company/%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%AD%E0%A7%87%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0Alor-Dishari-Mahatma-Bhegai-Halder-1746321025627833/
Comments
Post a Comment