মতুয়া ধর্মের আকর
গ্রন্থ হরিলীলামৃতে আমরা দেখতে পাই-
বুদ্ধের
কামনা তাহা পরিপূর্ণ জন্য।
যশোমন্ত
গ্রহে হরি হৈল অবতীর্ণ।। পৃ. ১৫
আবার একই ধরণের কথার উল্লেখ দেখতে পাই গুরুচাঁদ চরিতেও-
গৃহিরে করিতে শুদ্ধ ওড়াকান্দী
হরি-বুদ্ধ
আসিয়াছে বহু যুগ পরে। গুরচাঁদ চরিত পৃ.৫০১
উপরের এই কথাকে ভিত্তি করে আমরা জানতে পারি যে, নমঃশূদ্রদের
পূর্বপুরুষেরা বুদ্ধধম্মাবলম্বী ছিলেন। যে কথা গুরুচাঁদ ঠাকুর ১৮৮১ সালে দত্তডাঙার
শ্রদ্ধানুষ্ঠানে বলেছিলেন।
নমঃশূদ্র কবে হল
পূর্ব্বে তারা কিবা ছিল
সংক্ষেপেতে সেই
কথা বলিব সভায়।
গুরুচাঁদ চরিত পৃ. ১২৩
একদা ভারত খণ্ডে আসিয়া উত্তর বঙ্গে
রাজার আলয় জন্মে জ্ঞান-অবতার।
বুদ্ধ নামে পরিচিত করিলেন জীব-হিত।
ভেদাভেদ ভুলি সবে হল একাকার। গুরুচাঁদ
চরিত পৃ. ১২৪
কালচক্র ঘুরে আসে নিরুপায় অবশেষে
হিন্দুধর্ম্ম কবলেতে বৌদ্ধ আসে ফিরে।
ভারতের ইতিহাসে বঙ্গ বা অপর দেশে
হিন্দুরূপী বৌদ্ধ দেখা যায় ঘরে
ঘরে। গুরুচাঁদ চরিত পৃ.১২৪
বঙ্গদেশ নিষ্ঠাবান ছিল যত মতিমান
ধর্ম্ম ছাড়ি প্রাণ রক্ষা করিতে না চাহে।
ধর্ম্ম তরে দূরে যায় কত অত্যাচার সয়
ধর্ম্ম তরে বনমধ্যে হীন হয়ে রহে।
এই ধর্ম্মবীর যারা সেই বংশে জন্মি মোরা
কালের কুটীল চক্রে হয়ে আছি হীন।
বহু দিন গত হয় সবে মহা দুঃখ সয়
সেই ঘরে এল তাই হরি ভক্তাধীন। গুরুচাঁদ চরিত পৃ.১২৪
ঘরে এল ভগবান জাগিল জাতির প্রাণ
নমঃশূদ্র জাতি জন্ম হল সেই দিনে। গুরুচাঁদ চরিত পৃ.১২৪
Namo buddhay Jai Bhim
ReplyDelete