Skip to main content

Posts

Showing posts from June, 2020

প্রকৃত ঈশ্বর বা ভগবান কে? লেখক- জগদীশ রায়

প্রকৃত ঈশ্বর বা ভগবান কে? লেখক- জগদীশ রায় আমরা এমন কথা দেখতে পাই, ‘যে যাহারে ভক্তি করে সে তার ঈশ্বর’ প্রশ্ন আশে আপনি কাকে ‘ভক্তি’ করেন? কেন?   আপনি তাঁকেই ‘ভক্তি’ বা শ্রদ্ধা করবেন, যিনি আপনার মঙ্গল করবেন। আপনার সমস্যার সমাধান করবেন। আপনার সুখ দুঃখের সাথী হবেন।     না কি তাঁকে ‘ভক্তি’ করবেন যার অস্তিত্ত্বের উপরই বড় প্রশ্ন আসে। যিনি অলীক। যাকে নিয়ে ধর্মীয় ব্যবসা হয়?      আবার দেখা যায়- ‘বিশ্বভরে এই নীতি দেখি পরস্পর। যে যা’রে উদ্ধার করে সে তার ঈশ্বর।। কী বলা হয়েছে? সারা বিশ্বজুড়ে একটা নীতি দেখা যায়। প্রশ্ন হচ্ছে কী সেই নীতি? নীতিটি হচ্ছে, যে যারে উদ্ধার করে সেই তার ঈশ্বর।       তাহলে একবার ভাবুনতো আপনাকে বা আপনার সমাজকে কে বা কাঁরা বিভিন্ন অসমতা থেকে উদ্ধার করে এবং আপনাকে পশুর থেকে মানুষের মর্যাদা দিয়ে আপনার জন্য সমানতা   ফিরিয়ে দেবার কাজ করেছেন? আপনার অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছেন।     তবে প্রশ্ন হচ্ছে আপনি কী বুঝতে পেরেছেন যে, আপনি বা আপনার সমাজ অসমানতার অন্ধকার...

নমঃশূদ্রদের পূর্বপুরুষেরা বৌদ্ধধম্মাবল্মবী ছিলেন- গুরুচাঁদ ঠাকুর

   নমঃশূদ্রদের পূর্বপুরুষেরা বৌদ্ধধম্মাবল্মবী ছিলেন- গুরুচাঁদ ঠাকুর   মতুয়া ধর্মের আকর গ্রন্থ হরিলীলামৃতে আমরা দেখতে পাই- বুদ্ধের কামনা তাহা পরিপূর্ণ জন্য। যশোমন্ত গ্রহে হরি হৈল অবতীর্ণ।। পৃ. ১৫ আবার একই ধরণের কথার উল্লেখ দেখতে পাই গুরুচাঁদ চরিতেও - গৃহিরে করিতে শুদ্ধ    ওড়াকান্দী হরি-বুদ্ধ         আসিয়াছে বহু যুগ পরে। গুরচাঁদ চরিত পৃ.৫০১ উপরের এই কথাকে ভিত্তি করে আমরা জানতে পারি যে, নমঃশূদ্রদের পূর্বপুরুষেরা বুদ্ধধম্মাবলম্বী ছিলেন। যে কথা গুরুচাঁদ ঠাকুর ১৮৮১ সালে দত্তডাঙার শ্রদ্ধানুষ্ঠানে বলেছিলেন। নমঃশূদ্র কবে হল    পূর্ব্বে তারা কিবা ছিল   সংক্ষেপেতে সেই কথা বলিব সভায়। গুরুচাঁদ চরিত পৃ. ১২৩ একদা ভারত খণ্ডে       আসিয়া উত্তর বঙ্গে          রাজার আলয় জন্মে জ্ঞান-অবতার। বুদ্ধ নামে পরিচিত        করিলেন জীব-হিত।          ভেদাভেদ ভুলি সবে হল একা...