তুমি স্থূল আমি সূক্ষ্ম উভয়ে অভিন্ন। দেহ আত্মা মোরা দোঁহে মূলে নহি ভিন্ন।। -- (লীলামৃত, ঠাকুরনগর প্রকাশ ২০০৯ পৃষ্ঠা নং- ৭৩)
তুমি স্থূল আমি সূক্ষ্ম উভয়ে অভিন্ন।
দেহ আত্মা মোরা দোঁহে মূলে নহি
ভিন্ন।।
(লীলামৃত, ঠাকুরনগর প্রকাশ ২০০৯ পৃষ্ঠা নং- ৭৩)
অর্থাৎ
‘তুমি’ হচ্ছে
এখানে আমার শরীর। এই শরীরটা হচ্ছে স্থূল। ‘স্থূল’ অর্থাৎ
বড় কায়া বা অবয়ব,
আর আমি হচ্ছে এখানে আমার এই দেহের ভিতরের ‘চেতনা
শক্তি’। যাকে আত্মারূপে তুলে ধরা
হয়েছে। এই আত্মা হচ্ছে সূক্ষ্ম। আর এই দেহ এবং আত্মা একে অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
একের সঙ্গে অন্যটা মিশে আছে। দেহ বিনা আত্মার অস্তিত্ত্ব সম্ভব নয়। যার ফলে দেহের
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে আত্মারও মৃত্যু ঘটে। দেহের বাইরে আত্মার অস্তিত্ত্ব বলে কিছু
নেই। তবে একটা প্রদীপ থেকে যেমন অসংখ্য প্রদীপ জ্বালানো যায়; তেমনি প্রজনন প্রক্রিয়ার
মাধ্যমে একের বিনাশের সঙ্গে সঙ্গে যে অন্য জীবের উৎপত্তি প্রকৃয়া শুরু হয়, এই উৎপত্তি ও বিনাশের System কে হরিচাঁদ উপলব্ধি করতে পারেন, এই যে যে, Systemএই System এর
মূল হচ্ছে পঞ্চ ভুতের চার ভুত। ক্ষিতি, অপ, তেজ ও মরুৎ এই
চার ভুতের প্রামানিক মিলনেই জীবের সৃষ্টি হয়। আবার মৃত্যুর পরে এই চার ভুতে বিলিন হয়ে যায়।
Comments
Post a Comment