
ইহা
ছাড়া আর যত সব ক্রিয়া ভ্রষ্টা।। -শ্রীশ্রী হরিলীলামৃত পৃঃ নং ১১
এই তিনটি
বাণীকে হরিচাঁদ ঠাকুর তুলে ধরছেন মহাবাণীর মধ্যে দিয়ে।
এক-জীবে
দয়াঃ- অর্থাৎ সমস্ত প্রাণী ও উদ্ভিদ জগতের প্রতি দয়াশীল হ’তে হবে। একটা গাছ
লাগালে তাকে প্রত্যেক দিন জল দিতে হবে, তাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য। অর্থাৎ তাকে লালন
পালন করতে হবে। প্রাণী জগতের দিন দুঃখীর প্রতি যত্নবান হতে হবে। তাদের দুঃখ মোচনের
কাজে নিজেকে নিবৃত থাকতে হবে।
দ্বিতীয়- নামে
রুচিঃ- এই নাম শব্দটি একটি বিশেষ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। ‘নাম’ মানে হরিনাম
কৃষ্ণনাম নয়। এখানে নাম শব্দটির অর্থ হচ্ছে-বিজ্ঞান। মানে বিশেষ জ্ঞান। আর
রুচি-মানে অনুরাগ। অর্থাৎ একত্রে নামে রুচি কথাটির অর্থ হচ্ছে- বিজ্ঞানের
প্রতি অনুরক্ত হওয়া। যে বিশেষ জ্ঞানকে ধারণ করে মানুষ অতি প্রাচীনকাল থেকে
বর্তমান কালেও যাকিছু সহজ সুন্দর সেটাকে উপভোগ
করতে পারছে। হরিচাঁদ ঠাকুর সেই জীবের প্রতি ভালবাসা, বিজ্ঞানের প্রতি অনুরাগ করতে
বলেছে।
আর তৃতীয়- মানুষেতে নিষ্ঠা- অর্থাৎ
মানুষের প্রতি ভালবাসা, বিশ্বাস রাখা। তাকে আপন করে নেওয়া। তার সঙ্গে কোন ভেদাভেদ
না করা।
আর এই তিনটি অমোঘ বাণী
ব্যতিরেকে সব কিছুকে তিনি ভ্রষ্ঠ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর এই ভাবনার মধ্যে কোন
বিশেষ জাতির প্রতি নির্দেশ আছে কি? নাকি তিনি সমগ্র মানব জাতির প্রতি এই অমোঘবাণী
তুলে ধরেছেন?
Comments
Post a Comment