গুরুচাঁদ
ঠাকুরের জীবনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার আন্দোলন। তাই তিনি জীবনের
উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়িত করার জন্য প্রথমেই ঘোষণা করেন-
“খাও
বা না খাও তা’তে কোন দুঃখ নাই।
ছেলে পিলে শিক্ষা দেও এই আমি চাই”।। -গুরুচাঁদ চরিত- পৃঃ ১৪৪
ছেলে মেয়েকে দিতে শিক্ষা
প্রয়োজনে করিবে ভিক্ষা।

এবার বলুন
তো এই কথা কি কোন বিশেষ সম্প্রদায়ের জন্য? নাকি বিশ্বের সকল মানুষদের শিক্ষিত করার
জন্য এই উদাত্ব আহ্বান?
তিনি অশিক্ষাকে
মারন ব্যধির সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন-
অজ্ঞান
ব্যাধিতে ভরা আছে এই দেশ।
জ্ঞানের
আলোকে ব্যাধি তুমি কর শেষ।। -গুরুচাঁদ চরিত- পৃঃ ১৩৭
অর্থাৎ এই
অজ্ঞানতার ব্যাধিতে দেশ ভরে আছে। একমাত্র জ্ঞানের আলো দিয়েই এক অজ্ঞানতাকে দূর করা যাবে।
মানুষ সব
সময় মুক্তির সন্ধান করে। গুরুচাঁদ ঠাকুর মানুষের এই মুক্তি লাভের জন্য বলেছেন-
তাই
বলিভাই মুক্তি যদি চাই
বিদ্যান হইতে হবে।
পেলে
বিধ্যাধন দুঃখ নিবারণ
চির সুখি হবে ভবে।। -গুরুচাঁদ চরিত- পৃঃ ১৩০
মুক্তি
এখানে কোন মুক্তি? মুক্তি হচ্ছে অজ্ঞানতার অন্ধকার থেকে বেরিয়া এসে জ্ঞানের আলোতে
মুক্তি। সেই মুক্তির জন্য আপনাদের বিদ্যান হতে হবে। তাহলে মুক্তি পাবেন। আর সব
দুখের নিবারণ ঘটবে।আপনি চির সুখি হ’তে পারবেন।
শিক্ষা অর্জনকে তিনি এত মহত্বপূর্ণ মনে
করেছেন, যার জন্য তিনি বলেছেন-
বিদ্যা
ছাড়া কথা নাই বিদ্যা কর সার।
বিদ্যাধর্ম,
বিদ্যাকর্ম, অন্য সব ছার।।
-গুরুচাঁদ চরিত- পৃঃ ১০৮
অর্থাৎ ধর্ম
কর্ম সব কিছুর মূল হচ্ছে বিদ্যা। বাকী সব গুরুত্বহীন। তাই সকলে এই অমূল্য সম্পদকে অর্জন করুন।
বলুন তো
শিক্ষা গ্রহণের বিষয়ে আর ক’জন এরকম দীপ্ত ঘোষণা করেছেন? যে বিদ্যাই ধর্ম কর্ম ও
সার। বাকী অন্য সব অসার। তবুও কেন আমরা দেখতে পাই তাঁর এই বাণী প্রচার বিমুখতায়
রুদ্ধ হয়ে আছে?
আপনি কি ভগবান বিশ্বাস করেন?
ReplyDelete