“যে যাহারে
ভক্তি করে সে তার ঈশ্বর।” -শ্রীশ্রী হরিলীলামৃত পৃঃ নং
১
আর শ্রীশ্রী
গুরুচাঁদ চরিত-এ দেখতে পাই-
“বিশ্ব
ভরে এই নীতি দেখি পরস্পর।
যে
যাহারে উদ্ধার করে সে তার ঈশ্বর।।”
শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ চরিত- পৃঃ ৫৭২
এখানে
ঈশ্বরের ব্যাখ্যাটাকে কিন্তু গতানুগতিকতার ঊর্ধে গিয়ে বাস্তবতাকে তুলে ধরে বলা
হয়েছে যে, যে যাহাকে উদ্ধার করে সে তার
ঈশ্বর। অর্থাৎ ঈশ্বর এখানে কোন অলীক কেউ নন। ঈশ্বর হচ্ছেন উদ্ধার কর্তা। আর এই
উদ্ধার কর্তাকেই লোকে ভক্তি শ্রদ্ধা করেন।
তো এই নীপীড়িত বঞ্চিতদের উদ্ধার কর্তার কথা
যদি বলতে হয়, তাহলে আমরা দেখতে পাই- মহামানব গৌতম বুদ্ধ, হরিচাঁদ ঠাকুর, গুরুচাঁদ
ঠাকুর, মহাপ্রাণ যোগেন্দ্রনাথ মন্ডল, বাবা সাহেব ড. ভীম রাও আম্বেদকর, পেরিয়ার, গুরু নানক,
গুরু রবিদাস, মাতা সাবিত্রিবাই ফুলে, মহাত্মা জ্যোতিরাও ফুলে ইত্যাদি। আবার
বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এরকম দেখতে পাই- যেমন- মার্টিন লুথার, জন আব্রাহাম লিঙ্কন,
নেলসন মেন্ডেলা ইত্যাদি।
এই
মহামানবেরা নিপীড়িত বঞ্চিত মানুষদের
অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। তাই এই মহামানবেরা এই অর্থে ঈশ্বর বা
উদ্ধার কর্থা।
হরিচাঁদ ঠাকুরের কাছে শ্রেষ্ঠ ধর্ম কি? তার
ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন যে,
“ঠাকুর
কহেন বাছা ধর্ম কর্ম সার।
সর্ব
ধর্ম হ’তে শ্রেষ্ঠ পর উপকার।।” -শ্রীশ্রী হরিলীলামৃত পৃঃ নং
১৫০
দেখুন, কতবড়
গভীর ভাবনা। পর উপকার করা হচ্ছে শ্রেষ্ঠ ধর্ম। আর বাকী সব ধর্ম-কর্ম হচ্ছে তুচ্ছ,
অসার।
Comments
Post a Comment