দীক্ষা নাই, করিবে না তীর্থ
পর্যটন ।
মুক্তি স্পৃহাশূন্য নাই
সাধন ভজন ।।
(ঠাকুর
শ্রী শ্রী হরিচাঁদ মানব পুরুষঃ অধ্যাত্ম পুরুষ
পৃঃ ২৮/২৯ থেকে সংগৃহীত।
লেখক- ড.প্রহ্লাদ রায়, বিষয়ঃ- শ্রীশ্রী হরিলীলামৃত প্রসঙ্গে)
তীর্থভূমি মোক্ষভূমি'র
সমালোচনা করে যে প্রতিবাদী ধর্মের, সাহিত্যের ও সংস্কৃতির
জন্ম হয়েছিল তা আজ নিজেদের মধ্যেই প্রকট । ওড়াকান্দি ও ঠাকুর নগর তীর্থ ভূমিতে গণ্য হয়েছে। দলে দলে নরনারী
ব্রাহ্মণ্যবাদী হিন্দুরই অনুকরণকারী হয়ে উঠল। হয়ত এই কারণেই মতুয়া ধর্ম কেন্দ্রিক বাংলা সাহিত্য চর্চা ও প্রকাশনার দিক ধীরে ধীরে বন্ধের দিকে।
অথচ প্রকৃত উদার ও প্রগতিশীল মানবতাবাদী
ধর্ম প্রচারক হরিচাঁদের মতুয়া ধর্ম ও তাঁর
গবেষণা
প্রকাশনা নিরবে নিভৃতে হয়ে চলেছে মতুয়া দর্পণ প্রকাশনার মাধ্যমে ।
অথচ আশ্চর্যের বিষয় হল যে,
মতুয়াধর্ম কেন্দ্রিক বাংলা সাহিত্য, কোনো বড় নাম করা প্রকাশনা থেকে আজও প্রকাশিত হল না। অখন্ড ভারত ও পরে
পূর্ব পাকিস্তানে মতুয়া ভাবাশ্রিত শিক্ষিত মানুষের সংখ্যাও যেমন কম ছিল না,
তেমনি তাদের কর্মকান্ডও অনেক বেশী ছিল। হাজার কর্মকান্ডের মধ্যে
মতুয়া ধর্ম কেন্দ্রিক কোনো প্রকাশনা ঢাকা বা খুলনা শহরে আজও সৃষ্টি হল না। মতুয়ার
গৌরবে গর্বিত নমঃশূদ্রগণ শখের কবিতা, নাটক উপ্ন্যাস লিখে
সঞ্চিত বিত্ত ব্যয় করে বস্তাপচা গ্রন্থ প্রকাশ করে আহ্লাদিত হন-কিন্তু মতুয়ার
গ্রন্থ প্রকাশনা নৈব নৈব চ।
আসলে কলকাতার ভদ্র নমঃশূদ্র বা মতুয়াগণ
আত্মপ্রচারে এতটাই সময় দিতে চান সেখানে অমার্জিত মতুয়া পরিচয়ে হয়ত গ্লানি আসতে
পারে-সেই কারণে তথাকথিত ভদ্র সমাজ আজও মতুয়া ধর্ম কেন্দ্রিক সাহিত্যের খোঁজ পায় না।
তবে ভারতের শহর কলকাতা, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে অনেক দূরে
মফস্বলে যে সকল কাজ মতুয়া দর্পণ প্রকাশনা করে চলেছে তাতে কিছু বিশ্ব বিদ্যালয়ে
সরকারী দপ্তরে ও বিদ্বজ্জনের দৃষ্টি আকর্ষণ
করেছে।
(N.B.হরি-গুরুচাঁদ আম্বেদকর চেতনা মঞ্চ-এর
পক্ষ থেকে বেশ কয়েক বছর ধরে মতুয়া গবেষণা মূলক গ্রন্থ প্রকাশিত হচ্ছে । যেগুলি
সম্পুর্ণ অবৈদিক ভাবনায় সঠিক মতুয়া দর্শন হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছে।)
Comments
Post a Comment