Skip to main content

দ্বাদশ আজ্ঞা ও সপ্ত নিষেধাজ্ঞা

বারটি(১২) আজ্ঞা বা আদেশ যাকে বলা হয় দ্বাদশ আজ্ঞা ।
সেগুলো নীচে দেওয়া হল-
 (১) গার্হস্থ্য ধর্ম পালন বা এক নারী ব্রহ্মচারিঃ
                                     করিবে গার্হস্থ্য ধর্ম লয়ে নিজ নারী।
                                     গৃহে থেকে সন্ন্যাসী বানপ্রস্থ ব্রহ্মচারী ।।
(২) সত্য কথা বলাঃ                  গৃহধর্ম রক্ষা করে বাক্য সত্য কয় ।
                                     বানপ্রস্থী পরমহংস তার তুল্য নয় ।
(৩) পরদুঃখে দুখী হওয়া এবং দুঃখীকে সহযোগিতা দানঃ
                                     পরনারী মাতৃতুল্য, মিথ্যা নাহি কবে ।
                                     পরদুঃখে দুঃখী সদাই সচ্চরিত্র রবে ।।
(৪) সাধন, ভজন, দীক্ষা, তীর্থ পর্যটন প্রভৃতি আচার সর্বস্বতা পরিত্যাগ করাঃ
                                     দীক্ষা নাই, করিবে না তীর্থ পর্যটন ।
                                     মুক্তিস্পৃহা শূন্য, নাহি সাধন ভজন ।।
(৫) ভাবের আবির্ভাবঃ                গৃহেতে থাকিয়া যার ভাবোদয় হয় ।
                                     সেই সে পরম সাধু জানিবে নিশ্চয় ।।
(৬) গৃহধর্ম ও গৃহকর্ম  করাঃ          গৃহধর্ম গৃহকর্ম করিবে সকল ।
                                     হাতে কাম মুখে নাম ভক্তিই প্রবল ।।
(৭) জ্ঞানতত্ত্বঃ                         কিবা শূদ্র কিবা ন্যাসী কিবা যোগী কয় ।
                                      যেই জানে আথতত্ত্ব সেই শ্রেষ্ঠ হয় ।।
(৮) জীবের প্রতি দয়া করা ও মানুষের প্রতি নিষ্ঠা রাখাঃ
                                     জীবে দয়া নামে রুচি মানুষেতে নিষ্ঠা ।
                                     ইহা ছাড়া আর যত সব ক্রিয়া ভ্রষ্টা ।।
(৯) উদ্ধার কর্তাকে(হরিচাঁদ)ঈশ্বর মনে করাঃ
                                    বিস্বভরে এই নীতি দেখি পরস্পর ।
                                    যে যারে উদ্ধার করে সে তার ঈশ্বর ।।
(১০) কর্ম ও ধর্মের সমন্বয় সাধনঃ
                                    মালাটেপা ফোটাকাটা জলফেলা নাই ।
                                     হাতে কাম মুখে নাম মনখোলা চাই ।।
(১১) পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, দেহ ও মনশুদ্ধ রাখাঃ
                                    নরনারী প্রাতঃস্নান অবশ্য করিবে ।
                                    দেহশুদ্ধি চিত্তশুদ্ধি অবশ্য আসিবে ।।
(১২) সংযম রাখাঃ                   পরপতি পরসতী স্পর্শ না করিবে ।
                                    না ডাক হরিকে, হরি তোমাকে ডাকিবে ।।
হরিচাঁদ নির্দেশিত এসব গুণের অধিকারি একজন গৃহী হয়ে ওঠা আসল কথা । এসব গুণের অধিকারি কোন গৃহী হরিকে না ডাকলেও হরি তাকে ডাকবেন ।
উপরে উল্লেখীত গুলোকে দ্বাদশ আজ্ঞা বলা হলেও এরকম আরো বেশ কিছু আজ্ঞা বা নির্দেশ আছে লীলামৃতের পাতায় পাতায় ।
    এই আদেশের সঙ্গে সাতটি নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হ', যাকে বলা হয় সপ্ত নিষেধাজ্ঞা। সে গুলো হ'লঃ- (১)ভিন্ন গুরু ও ভিন্ন দল না করাঃ
                                     মতুয়ার এক গুরু ভিন্ন গুরু নাই ।
                                     মধ্যস্বত্ত্ব জমিদারি ধর্মক্ষেত্রে নাই ।।
                                     ভিন্ন ভিন্ন দল কেহ করো না গোসাই ।
(২) নারী দিয়ে অঙ্গ সেবা না করাঃ     নারী দিয়ে অঙ্গসেবা হবে ধর্মক্ষয় ।
                                     তেল ঘসা অঙ্গসেবা মহা ব্যাভিচার ।
(৩) পরনারীকে মাতৃ জ্ঞান করে দূরে থাকা ।
(৪) পরিহাস বাচালতা কখন না করা ।
(৫)মদ গাঁজা ন খাওয়া এবং চুরি না করা ।
(৬) তাস-দাবা-জুয়া খেলা সব ছেড়ে দিতে হবে
(৭) কাউকে (অর্থাৎ দেব-দেবীর প্রতি) ভয় করার দরকার নেই।

Comments

  1. যদি হরিঠাকুর না আসতেন তবে এই নমোদের কি দশা হইত?

    ReplyDelete

Post a Comment