“হরিচাঁদ ঠাকুরকে রামরূপ হিসেবে হীরামন পাগলের দর্শন”
- কাহিনী ও এর বিশ্লেষণ –
by- জগদীশ রায়
(note: লেখাটিকে মধ্যে মধ্যে কিছু নম্বর দেয়া আছে যা তথ্যসূত্রের নির্দেশক,
এ তথ্যসূত্রগুলো লেখাটির নিচে নম্বর অনুযায়ী সাজিয়ে দেয়া হয়েছে)
কবিতার ছন্দে কবি যা রচনা করেছেন তাকে সাহিত্য মনে করে তার রস আস্বাদন করতে ক্ষতি নেই। তা শুধুমাত্র সাহিত্য হিসেবে ঠিক ছিল। তবে যখন কিছু সত্যকে প্রকাশের নিমিত্তে কবি যখন সাহিত্যকে আশ্রয় করে সে সত্যকে মানুষের মনের আরো গভীরে প্রবেশ করাতে সচেষ্ট হন তখন সে সাহিত্যের অন্তরালে ঐ বাস্তব সত্যটিকে উদ্ধার না করতে পারাকে আমাদের ব্যার্থতা বই আর কিছু বলা যায় না ।
হরিলীলামৃত পাঠ করতে হলে পাঠক যদি যুক্তিবাদী মানসিকতা নিয়ে অগ্রসর হন তবে তাঁকে step by stepবিচার বিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে যেতে হবে প্রতিটি কাহিনির মধ্যে।
সেই step গুলি হচ্ছে-
পাঠককে এটা মনে রাখতে হবে যে, হরিচাঁদ ঠাকুরের মহাপরিণির্বানের (১৮৭৮ সালের ১৩ ই মার্চ) ২৪ বছর পরে লীলামৃত লেখার কাজ শুরু হয়। এবং প্রায় জোর করেই কবি তারক সরকারকে এই মহান দায়িত্ব গ্রহন করতে বাধ্য করা হয়।[1]
এবার এখানে তারক সরকারের সম্পর্কে পাঠকের গভীরভাবে অধ্যয়ন করা দরকার। তিনি একজন কবিয়াল ছিলেন।[3] আর কবিগানে তৎকালীন সময়ে হিন্দু ধর্ম গ্রন্থের কাহিনীর উপরই বেশি আলোচনা হত। কবি তারক সরকার ও তার ব্যাতিক্রম ছিলেন না। তাই তাঁর লেখায় সেই ভাবধারাতো প্রত্যক্ষ বা অপ্রত্যক্ষ ভাবে প্রকাশ হবেই।
পরবর্তী সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হচ্ছে যে, হরিলীলামৃত ছাপানোর ঘটনা। বিভিন্ন অসুবিধার মধ্য দিয়ে গ্রন্থ ছাপানো হয়।
তো এই সব বিষয় মাথায় রেখে পাঠকদের অগ্রসর হতে হবে। আর এই কথাগুলি মাথায় রেখে আমরা এবার হরিলীলামৃতের হীরামন পাগলের হরিচাদ ঠাকুরকে রাম হিসাবে দেখার কাহিনি[4] বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করতে পারি ।
লীলামৃত অনুসারে আমরা দেখতে পাই- হরিচাঁদ ঠাকুরে আত্মনিবেদিত প্রাণ মৃত্যুঞ্জয় ও তার সহধর্মীনী কালীশ্বরী। এঁদের কোন সন্তান ছিলন । তাই তারা হরিচাঁদ ঠাকুরকে এমনভাবে ভক্তি-শ্রদ্ধা করতেন যাতে ঠাকুরের কৃপায় তাদের ঘরে একটা সন্তান আসে ।[5] যেটা গতানুগতিক ভাবে সন্তানহীন দম্পত্তিরা আশা করেন তাদের কামনার ঠাকুরের প্রতি। যাদের সন্তান হয়না তারাই এর যন্ত্রনা বোঝেন। আর তারা চান যেকোন প্রকারে একটা সন্তান পেত । আর এর ব্যাতিক্রম মৃত্যুঞ্জন ও তাঁর স্ত্রীও নন।
বিষয়টি হরিচাঁদ ঠাকুরও খুব ভাল করে বুঝতে পারেন যে, মৃত্যুঞ্জয় ও কালীশ্বরীর কোন সন্তান না থাকার কি অব্যাক্ত যন্ত্রনা। ভক্তরা তাদের আরাধ্যকে ভগবান মনে করেন। আর ভক্তরা তাদের ভগবানের কাছে আশা করেন যে, তাদের ভগবান তাদের সংসারে একটা সন্তান এনে দেবে । কিন্তু এখানে মৃত্যুঞ্জয় দম্পত্তি যাঁকে ভগবান মনে করেছেন, তাঁর ভাবনা চিন্তাকে পাঠকের তীক্ষ্ণ যুক্তিবাদী মানসিকতা দিয়ে বিচার করতে হবে ।
হরিচাঁদ ঠাকুর জানেন যে যদিও তাঁকে তার ভক্তরা ভগবান মনে করে এবং তাঁর কাছ থেকে ভক্তরা অসাধ্য সাধনের আশা করে, তারপরও তিনি তো প্রকৃতির বাইরে গিয়ে কিছু করতে পারবেন না । সে ক্ষমতা তাঁর কিংবাআর অন্য কারুরই নেই। কিন্ত ভক্তের বাসনা তো পূরণ করতে না পারলে ভক্তরাও তাঁকে শ্রদ্ধা-ভক্তির আসনে বসিয়ে রাখতে পারবেন না। এই উভয় সংকট নিরসনের জন্য হরিচাঁদ-
কাশীশ্বরী মাকে বলে পুত্র তোর আমি ।।
মম ভক্ত ভাগবত যত যত হ'বে ।
তাহারা সকলে তোরে মা বলে ডাকিবে ।।[6]
দেখুন বাস্তবতার কি সঠিক নিদর্শন। হরিচাঁদ নিজেই বলছেন- কাশীশ্বরী তুমি আমার মা, আর আমি তোমার পুত্র। শুধু তোমার এই একটা পুত্রই নয়, আমার আদর্শের প্রতি যারা শ্রদ্ধাশীল হবে, আমার সেই সকল ভক্তরাও তোমাকে 'মা' বলে ডাকবে। ভেবে দেখুন কি জটিল কাজের সহজ সমাধা !
এখানে অনেক বিষয় পাঠককে গভীরভাবে ভাবতে হবে-
কবি তো আরও বেশি চমক দেখানোর জন্য অন্যভাবেও ভাবতে পারতেন। কিন্তু এখানে তাঁর কবিত্বে বাস্তবতার প্রকৃত স্ফুরণ ঘটেছে। হ্যাঁ, কোথাও কোথাও এই ধরনের স্ফুরণ লীলামৃতে অন্যভাবে ঘটতে দেখালেও সেখানে আরও গভীরভাবে বিশ্লেষণ করতে হবে। এবং শেষ পর্যন্ত ছাপানোর সময় বুনো জল ঢোকানোর কথাটাও মাথায় রাখতে হবে।
আমরা কিন্তু হীরামনের প্রসঙ্গ নিয়ে শুরে করে ছিলাম। আর এতক্ষন তাঁর কথা একটিও বলা হয়নি। কারণ তাঁর কথা বলার আগেই ওপরের এ কথাগুলো না জানলে হীরামনের ঠাকুরের রামরূপ দর্শনের কাহিনীর প্রকৃত সত্য বোঝা যাবে না।
এবার আমরা দেখি হরিচাঁদ ঠাকুরকে মাতা কাশীশ্বরী যখন পুত্ররূপে গ্রহন করলেন তখন কাশীশ্বরী মনে মনে খুব আনন্দিত হলেন-
এতেক শুনিয়া দেবী আনন্দিত মনে ।
কভু পুত্রভাব কভু পিতা তুল্য মানে ।।[7]
কাশীশ্বরী তার ঠাকুরকে কখনও পুত্র ভাবছেন, আবার কখনও পিতা ভাবছেন। তার এই ভাবনা ও ভালবাসার মধ্য দিয়ে মাতা কাশীশ্বরী ঠাকুরকে নিজের ছোট সন্তান তুল্য মনে করে গায়ে তেল মাখিয়ে স্নান করান। স্নান করানোর পর পীড়িতে বসিয়ে তিনি হরিচাঁদকে ফুল দিয়ে সাজান।[8]
মাতা কাশীশ্বরী যখন হরিচাঁদকে ফুল দিয়ে সাজাচ্ছিলেন সেই সময় রাস্তা দিয়ে থোড়া বাঁশ কাঁধে করে একদল কিষাণ যাচ্ছিলেন। সেই দলে রাউৎখামারের হীরামনও ছিলেন । তিনিও তাদের সঙ্গে খেতের কাজ করার জন্য যাচ্ছিলেন।[8] কিন্তু হীরামন-
ঠাকুরের মনোহর ফুলসাজ দেখি।
এক দৃষ্টে চেয়ে রহে ঠাকুর নিরখি।।[10]
হরিচাঁদ ঠাকুরকে এই ভাবে ফুলে ফুলে সজ্জিত দেখে অবাক হয়ে যান হীরামন। তাঁর মনের মধ্যে ভেসে ওঠে কবিগানের কাহিনীতে বর্ণিত রামচন্দ্রের কথা। তাই হীরামন তাঁর মনের মন্দিরে ভাবনার আবেশে ভাসতে থাকেন। আর ভাবনার এই ভেলা ভাবনার সমুদ্রে গতি পায় কবির ভাষায় এই কথায়-
ঠাকুর চাহিয়া বলে হীরামন পানে ।
রামাবতারের বীর ছিল কোন খানে ।।[11]
আসলে একথাটা একটু এভাবে ভেবে দেখুন-
রামাবতারের বীর অর্থাৎ হনুমান । হনুমানের হাতিয়ার হচ্ছে গদা । যেটা কাঁধের উপর রেখে চলা হয় । হীরামন খেতের কাজে যাচ্ছিলেন অন্য কিষাণদের সঙ্গে কাঁধে থোড়া বাঁশ নিয়ে ।
হীরামন স্কন্ধে ছিল বাঁশ এক খন্ড ।
থোড়া বাঁশ ধান্য তৃণ আকর্ষণীদন্ড ।
*** *** *** *** ***
কৃষকেরা কৃষিকার্য্য করিবারে যায় ।
সেই সঙ্গে ধান্য ভ্রমি আবাদ ইচ্ছায় ।।
চলেছেন একগোটা বাঁশ কাঁধে করি ।
কৃষাণের সঙ্গে রঙ্গে যায় সারি সারি ।।[12]
তো এক সঙ্গে যদি পাঁচ/সাত বা দশ জন গামছায় কাছা দিয়ে খালি গায়ে, আর কাঁধে কৃষি কাজের উপকরণ বা থোড়া বাঁশ নিয়ে চলেন সেটা দেখে মনে হবে একটা বাহিনী যাচ্ছে। তো হরিচাঁদ সেই বাহিনীকে দেখে হীরামনকে উদ্দেশ্য করে বলেন যে, তারা যেন রাম অবতারের হনুমান বীর বাহিনী যাচ্ছে।[13] একথা শুনে হীরামনের মনের ভাবনার আর অবকাশ থাকে না। তিনি হরিচাঁদকে সাক্ষাৎ রামরূপে দর্শন করেন। আর মুহুর্তের মধ্যে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুর্ছা যান।[14]
এই ভাবনা ও তার থেকে মুর্ছা যাওয়া হচ্ছে এক প্রকার Hallucination. যাকে মতিভ্রম বা দৃষ্টিভ্রম বলা হয়। বিজ্ঞানে এ বিষয়ে যুক্তিসংগত ব্যাখ্যাও আছে।[15]
তো হীরামন মূর্ছা গেলে সকলে তড়িঘড়ি করে তার চোখে মুখে জলের ছিটা দিয়ে কিছুটা সম্ভিত ফেরালে, হীরামন উঠে বসেন। কিন্তু সেই ভাবনার ঘোর কাটতে না কাটতে হরিচাঁদকে বলেন, “ঠাকুর একটু আগে আমাকে যে রাম রূপ দর্শন করালেন সেটা আবার দেখান।”[16]
হরিচাঁদ জানেন ভক্তের কাছে ভক্তিই প্রবল হয়। আর সেই ভক্তিতে কোন যুক্তির ছায়াও থাকে না। তাই তিনি এমন উপায় বের করলেন যেটা শুনে ভক্তও সন্তুষ্ট হবেন আবার ভক্তকে বা অন্যদের মিথ্যা কথাও বলা হবে না যেটা প্রকৃতি বিরুদ্ধ। তাই তিনি হীরামনকে বললেন-
প্রভু কহে কহি তোরে ওরে হীরামন।
যদি কেহ কারু কিছু করে দরশন।।
অসম্ভব দেখে জ্ঞানী প্রকাশ না করে।
শুনিলে সন্দেহ হয় লোকের অন্তরে।।[17]
হরিচাঁদ হীরামনকে বোঝালেন যে, জ্ঞানী মানুষ অসম্ভব কিছু দর্শন করলে সেটা তখন প্রকাশ করেনা। কারণ সেটা তো কেউ মেনে নেবে না, উল্টো তাকে জ্ঞানী না ভেবে লোকে পাগল ভাববে। তাকে উপহাস করবে। তাই সেও যেন যা দেখেছে সেটা প্রকাশ না করে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা গ্যালিলিওর কথা স্মরণ করতে পারি। তিনি যখন আবিষ্কার করেছিলেন যে সূর্য স্থির আছে। পৃথিবী সূর্যের চার পাশে তার নিজের কক্ষ পথে ঘুরছে। একথা তখন কেউ মানতে পারেননি। যার পরিনতি স্বরূপ তাঁকে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হয় ।[18]
হরিচাঁদ ঠাকুর কিন্তু এটুকুই বলে বা হীরামনকে জ্ঞানী বলেই থেমে থাকলেন না। কারণ তিনি যানেন যে সাধারণ কথায় তখন হীরামন শান্ত হবার নয়। তাই তিনি হীরামনকে আরও উদাহরন দিয়ে বোঝালেন যে-
শৈল মাঝে অগ্নি থাকে জানে সর্বলোক।
ঠুক্নি লৌহাঘাতে জ্বলে উঠে সে পাবক ।।
তেমনি পাথর মাঝে রহিয়াছে অগ্নি।
দেখিতে পাইবা পুন যদি থাকে ঠুকনি।।
কিন্তু সে আগুন যদি জ্বালাইয়া লয়।
শীলা কাষ্ঠ পুড়ে যায় কিছু নাহি রয়।।[19]
হরিচাঁদ বোঝান যে,-- পাথর দেখে তো বোঝা যাবেনা যে তার মধ্যে আগুন আছে। সেটাকে বোঝা বা জানার জন্য ঐ পাথরের সাথে অন্য পাথরের ঘর্ষণ করতে হবে উপযুক্ত পরিনামে। তেমনি লোহার মধ্যেও একই ভাবে আগুন আছে, কিন্তু সেই আগুন বার করতে হলে ঠুকুনিরও সাহায্য নিতে হবে। আবার তুমি দেখ দু'খন্ড শুষ্ক কাঠ যেটার দ্বারা আগুন জ্বালানো হয়। কিন্তু এই কাঠের মধ্যেই যে আগুন লুকিয়ে আছে সেটাও জানা যাবে যখন দু'খন্ড কাঠকে প্রবল বেগে ঘর্ষণ করা যাবে আর এই ঘর্ষণের ফলে যে আগুন জ্বলবে সেই আগুন কিন্তু তখন সমস্ত কাঠকেই পুড়িয়ে দেবে। এভাবে প্রখর বিজ্ঞানবাদী যুক্তি দিয়ে হরিচাঁদ ঠাকুর তাঁর প্রিয় ভক্তকে বোঝান। এবং তাকে আত্মস্ত্ব করেন যে সে যা দেখেছে সেটা আর প্রকাশ করবে না।
আমার এই লেখার উদ্দেশ্য আমাদের সমাজের বর্তমান হীরামনদের নিয়ে। আশাকরি, এই হীরামনরা তাদের ভাবনার গভীরতায় গিয়ে নিজের বিচার ও বুদ্ধি দিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে শিখবেন এবং হরিলীলামৃতে বর্ণিত বা অন্যত্র তাদের প্রত্যক্ষ বা অপ্রত্যক্ষ ভাবে প্রাপ্ত বা দর্শিত ঘটনার বিজ্ঞান নির্ভর যুক্তি নিষ্ঠ ব্যাখ্যার প্রয়োগ করবেন। তবেই হরিচাঁদ ঠাকুরের সঠিক আদর্শ প্রসারিত হবে। তা নাহলে শুধু হরিবোল বলে হীরামন সেজে থাকলে সমাজ, দেশ তথা জাতির পক্ষে সেটা কোন অগ্রগতি আনবে না। উল্টো অধোগতিতে ধাবিত হবে । আর এটা বলতে কুন্ঠা নেই যে, সেটাই বর্তমানে হীরামনরা বেশি করে চলেছেন।
তাই একটাই কথা-- শুধু ঠাকুরকে নয়, ঠাকুর প্রদর্শিত মত-পথ ও আদর্শকে মেনে চলুন । নিজের, সমাজের তথা জাতির মঙ্গল করুন।
============================================================
তথ্যসূত্রঃ
1. হরিলীলামৃত page No.-34
গ্রন্থকারের প্রতি গ্রন্থ লিখিবার আদেশ
2. মৃত্যুঞ্জয় দশরথ বর দিয়াছিল ।
চতুর্বিংশ বর্ষ এই গত হয়ে গেল ।।
3. হরিলীলামৃত Page No. 34
যে লেখা পড়া জান তাহা উঘাড়িয়া ।
দেশ ভাষা মতে দেও পুস্তক রচিয়া ।
যুবা বুড়া সবে যাতে বুঝিতেবারে পারে ।
সেইমত লিখে দাও আমাদের বরে ।।
4. শ্রী হীরামন পাগলের উপাখ্যান - হরিলীলামৃত পৃঃনং-৭৮ থেকে ৮০
6. 7. 8. 9. 10. 11. 12. 13. 14. 15. 16. 17. 18. 19. ঐ
এইসব ছেলেমানুষী অজুহাত ও তত্ত্ব মানা যায় না | এর ও আগে পুন্ড্র ক্ষত্রিয়দের জাতির ইতিহাস ছাপা হয়েছে | কাকে ঘুষ দিয়েছিলেন ? যতসব গাজাখুরী তত্ব | হরিচাঁদ কে জাতে বামুন তারা বানিয়েছে ? মানা গেল না | ওদের বঙ্শের লোকেরাই জাতে ওঠার জন্য এবঙ ভাঙিয়ে খাওয়ার জন্য এইসব কথা বলেছে | পরিস্কার এক ঠাকুর বলেছেন , "অমার পূর্বপুরুষেরা আমদেরা প্রপিতামহকে চন্ডালদের দান করেছিলেন "| কাস্ট মবিলিজাষন আন্দোলনের সূত্র ধরে ষে সময় অনেক নম:স্বেজ্ তথা নমঃশূদ্র পরিবার নিজেদের পূর্নপুরুষ ব্রাহ্মণ ছিলো একথা বলতে শুরু করে | তারা অবর্ণ পরিচয় টি মুছে ফেলবার জন্য যে কোনো মূল্য দিতে গিয়ে , জন্ম দাস বা নামে শূদ্র বা নমশূদ্র হয় |তারা ই পৃথিবীর একমাত্র সম্প্রদায় যারা পন্ডিতি দেখাতে গিয়ে স্লেভ নামকরন মেনে নিয়েছে |
ReplyDelete