ঈশ্বরে ব্যাখ্যা ও গুরুচাঁদ ঠাকুর। তিনি কোন ঈশ্বরের পূজা করতে বলেছেন? লেখক –জগদীশচন্দ্র রায় ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ অক্টোবর, গুরুচাঁদ ঠাকুরের উপস্থিতিতে লক্ষ্মীখালীতে বিভিন্ন জ্ঞানী-গুণীজনদের নিয়ে এক বিরাট জাগরণী সভা হয়। সেই সভায় – প্রভু বলে “শোন সবে নমঃশূদ্রগণ। ধর্ম্ম শক্তি বিনা জাতি জাগেনা কখন।। (গু. চ.পৃঃ ৫২৯) তিনি নমঃশূদ্রদের জানান, জাতিকে জাগাতে হলে ধর্ম্মের শক্তির দরকার আছে। এই শক্তির মাধ্যমেই মানুষকে একতাবদ্ধ করা যাবে। তবে তিনি ধর্মকে হাতিয়ার হিসাবে গ্রহণ করলেও ধর্ম বিশ্বাসের উপর নির্ভর করেননি। মানুষকে জাগ্রত করার শিক্ষার মধ্যে নিয়ে যাবার জন্য, বৈষম্য দূর করার জন্য ধর্মকে এক ধরনের ভাষা অর্থাৎ প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন। মতুয়াদেরকে কাঁর পূজা করতে হবে আর কার পূজা করবেনা; সে বিষয়ে তিনি এক অমোঘ বাণী দেন। যে বাণীকে প্রত্যেক মতুয়া অনুরাগীদের ভেবে দেখা দরকার। দেবতা-মন্দির সবে গড়’ ঘরে ঘরে। নিত্য পূজা কর সেথা সরল অন্তরে।। এইখানে আমি বলি’ এক সমাচার। দেবতা-মন্দিরে পূজা করিবে কাহার? ব...
বাংলায় সাম্যবাদী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে মহাপ্রাণ যোগেন্দ্রনাথ মন্ডলের অবদান। লেখক- জগদীশচন্দ্র রায়
বিষয়ঃ- বাংলায় সাম্যবাদী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে মহাপ্রাণ যোগেন্দ্রনাথ মন্ডলের অবদান। লেখক- জগদীশচন্দ্র রায় ভূমিকাঃ- বাংলার সাম্যবাদী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে মহাপ্রাণ যোগেন্দ্রনাথ মন্ডল হচ্ছেন, মধ্য মণি। কারণ, বাংলায় বৌদ্ধ শাসক, পাল রাজাদের শাসন চলেছিল প্রায় সাড়ে চারশো (৭৫০-১১৬২) বছর ধরে। সেই শাসন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে শুরু হয় ব্রাহ্মণ্য শাসন ব্যবস্থা। যার প্রমুখ হচ্ছে বল্লাল সেন। তার শাসনকালে বাংলার বৌদ্ধদের উপর নেমে আসে কঠোর অত্যাচার। সেই অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে পালিয়ে জঙ্গলে এসে বসবাস করতে বাধ্য হয় এক সময়ের প্রতাপশালী বৌদ্ধগণ। তাঁরা ধর্মহীনে পরিণত হন। তারপর হরিচাঁদ ঠাকুরের মতুয়া ধর্ম আন্দোলন এবং গুরুচাঁদ ঠাকুরের শিক্ষা ও সামাজিক আন্দোলনে পতিতরা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার স্থান দখল করে। সেই স্থান বা ফাউন্ডেশনের উপর যে রাজনৈতিক বৃক্ষের বিজ রোপন করা হয়েছিল সেটাকে পূর্ণাঙ্গ আন্দোলনের বৃক্ষ হিসাবে দাঁড় করেন মহাপ্রাণ যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডলের নেতৃত্বে বাংলার মূলনিবাসীরা। সেই বৃক্ষকে আরো বিস্তারিত করার জ...